ব্রেকিং নিউজ :
সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে : অর্থ প্রতিমন্ত্রী সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে যদি প্রবাহ না থাকে, তাহলে সভ্যতা টিকতে পারে না : গণপূর্তমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ : সিলেটে ইসি আনিছুর রহমান তাপদাহের পর দেশে তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড গড়তে পারে : আশঙ্কা বিএমডি’র আগামীকাল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু, বন্ধ থাকবে আ্যসেম্বলি মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে : স্পিকার প্রথম দিনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ১১ জন
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১১-০১
  • ৫৬৭৬৯৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ১৫ বছরে ফেনীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ২১শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছে। দপ্তরটির একটি সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিগত ১৬ বছরে উন্নয়ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে সরকারের এ দপ্তরটি ২০০৯ সাল পর্যন্ত ফেনীতে উন্নয়ন চিত্র এবং এরপর ২০২৩ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন চিত্রের তুলনামূলক তথ্য প্রকাশ করে।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০০৯ সালে ফেনীতে পল্লী সড়ক উন্নয়ন হয়েছিল ১ হাজার ৩৮০ কিলোমিটার। চলতি অর্থবছরে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২০০ কিলোমিটার। ২০০৯ সালে ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের অধিক সেতু ছিল ১টি, যা বর্তমানে হয়েছে ৫টি। ২০০৯ সাল পর্যন্ত সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪১ মিটার, এখন যা হয়েছে ৪ হাজার ৪৩০ মিটার। ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ ছিল ১টি, বর্তমানে রয়েছে ৩টি। নতুন করে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স করা হয়েছে ৩টি, বর্তমানে এ সংখ্যা ১৬টি। গ্রোথ সেন্টার বা হাটবাজার ১৫টি বেড়ে হয়েছে ২৮টি। ২০০৯ সালের তুলনায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে ২৩টি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা অবকাঠামো বেড়ে হয়েছে ২৮০টি, যা পূর্বে ছিল ৯৫টি। পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন খাতটি পূর্বে না থাকলেও গত ১৫ বছরে ২ হাজার ৬৩৮ হেক্টর আবাদি জমি এ উন্নয়নের আওতায় এসেছে। রাবার ড্যাম বা রেগুলেটর তৈরি করা হয়েছে ৫টি। নতুন করে খাল খনন করা হয়েছে ৬২ কিলোমিটার, নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে ৩ কিলোমিটার, ৬ উপজেলায় ৬টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। ধর্মীয় উপসনালয় গড়া হয়েছে ৩৯টি। ২০০৯ সালের তুলনায় ১০৫ কিলোমিটার বেশি সড়ক রক্ষাবেক্ষণ করা হয়েছে, বর্তমানে রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় সড়কের দৈর্ঘ্য ১৮৫ কিলোমিটার। ২০০৯ সালে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ছিল ৪০ কোটি, যা গত অর্থবছরে হয়েছে ২১০ কোটি টাকা।
নতুন মুন্সীরহাট-কামাল্লা সড়ক এনেছে স্বস্তি
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি মানুষের সামাজিক অবস্থানেরও পরিবর্তন ঘটে। তেমন একটি উদাহরণ পাওয়া গেছে ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীরহাটে প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নতুন মুন্সীরহাট-কামাল্লা সড়কটি পাকাকরণের মধ্য দিয়ে। সড়কটি দরবারপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রাম হয়ে মুন্সীরহাট ইউনিয়নের নোয়াপুর দক্ষিণ পাড়ায় তারালিয়া খাল পার হয়ে সিলোনীয়া নদীর ধারে সংযুক্ত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর দুই ইউনিয়নের ৫ গ্রামের শিক্ষার্থী, শ্রমজীবীসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে। বদলেছে সামাজিক মর্যাদা। ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির দুই-তৃতীয়াংশ নতুনভাবে পাকাকরণের কাজ বাস্তবায়ন করেছে এলজিইডি। স্থানীয়দের মত, সিলোনীয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ করে কামাল্লায় সংযোগ স্থাপন হলে যোগাযোগের জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি যুক্ত হবে জনপদে।
এ সড়কের নোয়াপুর অংশে ৯টি পোল্ট্রি ফার্মে আনুমানিক ২০ হাজার মুরগী রয়েছে। এসব পোল্ট্রি ফার্মের মালিকদের মধ্যে হানিফ, দেলোয়ার অন্যতম। পণ্য পরিবহণে শোনালেন স্বস্তির গল্প। স্থানীয়রা বলছেন, বাড়ি যাবার রাস্তা নেই- এমন কটূক্তি এখন আর শুনতে হয় না, অতিথি আমন্ত্রণে এখন আর অস্বস্তি হয় না।
ফুলগাজী উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী সৈয়দ আসিফ মাহমুদ বলেন, সিলোনীয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, আশা করি আগামী অর্থবছরে কামাল্লা গ্রামের বাসিন্দারা এর সুফল ভোগ করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat