সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে আর কোন বাধা রইল না বলে জানায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল জজ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম আজ এ আদেশ দেন।
সহকারী এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে বাধা কাটলো। তবে পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল মো. মোরসেদ ও সহকারী এটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এদিকে আজ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা সংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলো, আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত সেই স্টে অর্ডার ভ্যাকেন্ট (প্রত্যাহার) করে দিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে আর বাধা নেই।’
এদিকে, গত ২২ এপ্রিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া - এ ২১ জেলায় গৃহীত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন।
সংশোধিত ফলাফলে পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। একই দিন সকালে এ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল, তখন উত্তীর্ণের সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৫৭ জন। পরে মধ্যরাতে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।