• প্রকাশিত : ২০২০-১১-১১
  • ৭৯৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

নড়াইল, জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হতে চলেছে। শহরতলীর মালিবাগ এলাকায় ৩শ ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ একর জমির ওপর নড়াইলের কৃতী সন্তান প্রকৌশলী হাতেম আলী খান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি নির্মিত হবে। ইতিমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জায়গাটি বুঝে পেয়েছে। জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জমির সাভের কাজ শেষ পর্যায়ে। ১মাস পর সয়েল টেস্টের কাজ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের অধীন ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে নড়াইলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণের জন্য একনেকে ৩শ ৬৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসন শহর সংলগ্ন মালিবাগ এলাকায় সীমাখালী ও বোড়া বাদুড়িয়া মৌজায় কলেজটির জন্য ৮ একর জমি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় জমির মালিকরা এখানে কলেজ নির্মাণের বিরোধিতা শুরু করলে কাজটি পিছিয়ে যায়।
জানা গেছে, প্রাথমকি পর্যায়ে এ প্রকল্প কাজের মধ্যে রয়েছে ভূমি অধিগ্রহণ, বহুতল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, ৫শ সিটের করে ১টি ছাত্র ও ১টি ছাত্রী হোষ্টেল, প্রিন্সিপ্যাল ও ষ্টাফ কোয়ার্র্টার, একাধিক ল্যাবরেটরি, ক্লাস রুম ও অফিস কক্ষের চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র, হোষ্টেল ফার্নিচার, ডেকোরেশন, গাড়ী, মসজিদ, অভ্যন্তরীন রাস্তা ও সীমানা প্রাচীর ইত্যাদি। প্রথমাবস্থায় ৪টি বিভাগ নিয়ে কলেজটি চালু হবে। বিভাগগুলো হলো সিভিল, ম্যাকানিক্যাল, ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিয়ারিং এবং সফট্ওয়ার ইঞ্জিয়ারিং। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২০২১-২২ অর্থ বছরের মধ্যে এ কলেজটি বাস্তবায়ন হবে।
নড়াইল নাগরিক উন্নয়ন কমিটির নেতা, প্রাক্তন এমপি অ্যাডভোকেট সাঈফ হাফিজুর রহমান খোকন বলেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এগিয়ে থাকা নড়াইলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ। নড়াইলের কৃতী সন্তানের নামের নামে এ প্রকৌশল কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলে কিছুটা হলেও জেলাবাসীর দাবি পূরণ হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ ফকরুল হাসান বলেন, জমি অধিগ্রহণের জন্য ৪কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। জমির মালিকদের জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়নি। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে কলেজের কাজ শুরু হতে কোনো বাঁধা নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কাজের ক্ষেত্রে যে কোনো প্রকার সহযোগিতা করা হবে।
নড়াইল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, ৬ আগস্ট জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মালিবাগ এলাকায় ৮একর জমির কাগজপত্র ও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন জমির ডিজিটাল সার্ভের কাজ শেষ পর্যায়ে। জমিতে আমন ধান থাকায় জমির সয়েল টেস্ট সম্পন্ন হয়নি। ১মাসের মধ্যে ধান কাটা হয়ে গেলে জমির সয়েল টেস্ট করা হবে। পরে ধাপে ধাপে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat