ব্রেকিং নিউজ :
ঝিনাইদহে চালের উৎপাদন ও সরবরাহ সংক্রান্ত অবহিতকরণ সভা নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় উচ্ছেদ অভিযান দিনাজপুর হাবিপ্রবিতে ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে তৈরি চিত্রকর্ম প্রদর্শনী নারায়ণগঞ্জে ইকোনোমিক জোন পরিদর্শনে ভুটানের রাজা জাতির জন্য বিএনপি-জামায়াত অভিশাপ: নাছিম জলবায়ু-সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : পরিবেশমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ প্রদান অব্যাহত থাকবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: শফিকুর রহমান চৌধুরী
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-০২
  • ৬৮৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৬০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ সময়ে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয় এবং সুস্থ হন ৩৬২ জন।
উল্লেখ্য, করোনার প্রথম প্রকোপকালে ১৬ জুলাই ৩৯৯ জন শনাক্তের পর গতকাল ছিল চট্টগ্রামে বিগত সাড়ে চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এর আগে ৩০ নভেম্বর ১ হাজার ৪০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সাড়ে চার মাসের সর্বোচ্চ ২৯১ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। সংক্রমণ হারও ছিল ২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২৩ নভেম্বর ২৪২ জন জীবাণুবাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, মঙ্গলবার নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেলে ১ হাজার ৩৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২৬০ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২১৩ জন এবং আট উপজেলার ৪৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ১৬ জন, পটিয়ায় ১১ জন, রাউজানে ৭ জন, বোয়ালখালীতে ৬ জন, সীতাকুন্ডে ৪ জন এবং লোহাগাড়া, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজার ৫৯৪ জনে দাঁড়ালো। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৯ হাজার ৩২৯ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ২৬৫ জন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা এখন ৩২০ জন। এতে শহরের ২২৫ জন ও গ্রামের ৯৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬২ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৯ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৩ হাজার ৫৩১ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে ১৯ হাজার ৫৫৮ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩২ জন ও ছাড়পত্র নেন ৮০ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ২৬৭ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ২১টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৩৬৩ জনের নমুনায় ১২০ জনের দেহে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১১৩ জনের মধ্যে ৩৫ জন করোনাক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১০৭টি নমুনার ১৬টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১৬টি নমুনা পরীক্ষা হলে ১১ টির রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১০৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৯ টিতে ৩২টি এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮টি নমুনায় ৫টি করোনাক্রান্ত থাকার প্রমাণ মেলে। এদিন চট্টগ্রামের ৮৫ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ২৮, চমেকে ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ, চবি’তে ৩০ দশমিক ৯৭, সিভাসু’তে ১৪ দশমিক ৯৫, আরটিআরএল-এ ৬৮ দশমিক ৭৫, শেভরনে ১৮ দশমিক ৩৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫ দশমিক ৯৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat