• প্রকাশিত : ২০২০-১২-৩০
  • ৬০০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ২৯৭তম দিনে ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫০৭ জন।
গতকালের চেয়ে আজ ৮ জন কম মৃত্যুবরণ করেছে। গতকাল ৩০ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ হাজার ৫৩১ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫০৭ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গতকাল সুস্থতার হার ছিল ৮৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ০৮ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ২২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ২৩৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৪ হাজার ৫৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ১৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৮ দশমিক ১০ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ০১ শতাংশ বেশি।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮২টি হয়েছে সরকারি এবং ৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৬২টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০৮ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৮২০ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৫৮৮টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের সরকারি ১১৫ ও বেসরকারি ৬৫টিসহ ১৮০টি পরীক্ষাগারে (এন্টিজেন টেস্টসহ) নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজার ৫৮৮ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৬৪১টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ৩০০৯ দশমিক ২৬ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৬৭৭ দশমিক ৯৩ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪৪ দশমিক ২২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ২২ জনের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, আর নারী ৬ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৭৩৩ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৭৯৮ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ২২ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের বছরের ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের বছরের ৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৬ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১১ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৫ জন; যা দশমিক ৪৬ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৭ জন; যা দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৯ জন; যা ২ দশমিক ১১ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৭৬ জন; যা ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮৮৫ জন; যা ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৯১১ জন; যা ২৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৪ হাজার ১০৮ জন; যা ৫৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ১ জন করে এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৪ হাজার ১২৯ জন; যা ৫৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৪০৭ জন; যা ১৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪৩৩ জন; যা ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫৩০ জন; যা ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২৩৭ জন; যা ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৯১ জন; যা ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩৩৮ জন; যা ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৬৬ জন; যা ২ দশমিক ২০ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ২৯৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৫ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ৮০৪টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ২৯০টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৮৯ জন ও শয্যা খালি আছে ১০১টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬৮৭টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৩১ জন ও শয্যা খালি আছে ৪৫৬টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৫টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৯ জন ও শয্যা খালি আছে ২৬টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৫৩৯টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৪১ জন ও শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯৯৮টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৪৭টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৭৯ জন ও শয্যা খালি আছে ১৬৮টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৫২৫টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ২৬৭ জন এবং শয্যা খালি আছে ৮ হাজার ২৫৮টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৮২টি, রোগী ভর্তি আছে ২৮৭ জন এবং খালি আছে ২৯৫টি। সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ২৫ হাজার ৭১১টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৭২৫টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৯১৩টি, আইসিইউ বেড ৬৮৮ ও ভেন্টিলেটর ৬২০।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ১ হাজার ৫০৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ১৫২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩২ জন, রংপুর বিভাগে ২৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩২ জন, বরিশাল বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, সিলেট বিভাগে ২৫ জন এবং ময়মনসিংহে ৩ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৪৮৬ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭২৩ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৩৮৩ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৮ হাজার ৮৫৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ১২৭ জন, আর ছাড়া পেয়েছেন ১২৩ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ২১২ জন, আর ছাড়া পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৬৯০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৫২২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ হাজার ৫৮২ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৯৬ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ১ হাজার ৯২৮টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ৪ হাজার ৮০৫টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ৯২টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮২৫টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮৯টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ২ হাজার ৬০৩ জন, এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৫ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৮৩৭ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৭ জন এবং ১৭ লাখ ৭১ হাজার ১২৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat