• প্রকাশিত : ২০২১-০৬-০৫
  • ৩১১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ বলেছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে জনগণকে জলবায়ু অভিবাসী হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে ‘জলবায়ু প্রশমনের’ অংশ হিসাবে উপকূলীয় অঞ্চলে পুনর্বিকীরণযোগ্য জ্বালানি সুবিধা সম্বলিত বাঁধ নির্মাণ করা দরকার বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, আমাদের জনগণকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং নদীর ভাঙ্গন থেকে ডুবে যাওয়া এবং জলবায়ু অভিবাসী হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে টিকে থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে উচূ এবং প্রশস্ত বাঁধ তৈরি করতে হবে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আর্থ সোসাইটি নামে স্থানীয় একটি বেসরকারী সংস্থা আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘ক্লাইমেট ক্যাম্প-২০২১’ এর উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ড. মোমেন বলেন, এই বাঁধগুলোর চারপাশে ম্যানগ্রোভের বনাঞ্চল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্াসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উভয় ধাক্কা সামলনোর ক্ষেত্র হিসাবে এবং কার্বন সংকুচিত করতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, আমরা বেড়িবাঁধের জায়গাটি নিকটবর্তী গ্রিড অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে এবং জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের জন্য সৌর প্যানেল এবং বায়ু টারবাইন স্থাপনের জন্য ব্যবহার করতে পারি।
এছাড়াও, তিনি বলেছিলেন উপকূলীয় বেড়িবাঁধে একটি মনোরম নান্দনিক সড়ক হবে, যা পর্যটনের জন্য ওখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জলবায়ু সংসদ বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক, এমপি, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সিভিএফ বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ, ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্তো মুখার্জি এবং কান্ট্রি লিড ইউরোপীয় ক্লাইমেট ফাউন্ডেশন (ইসিএফ) মনোয়ার মোস্তফা উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।
ইউএন ডিকেড অন ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন ২০২১-২০৩০ চালু হওয়ার পর ‘ক্লাইমেট ক্যাম্প’ বাংলাদেশের তরুণদের একত্রিত করে হ্যাশট্যাগ #জেনারেশনরেস্টোরেশন হিসেবে জাতিসংঘের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রকৃতির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে একত্রিত করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় সংসদ এটিকে ‘প্ল্যানেটারি ইমার্জেন্সি’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে যুবসমাজ এবং সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের পক্ষে টেকসই সমাধানের পক্ষে সর্বোত্তম ফল আনতে পারে।
তিনি বলেন, জলবায়ু এলাকায় যৌথ দায়িত্ব ও সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে টেকসই, সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য আমাদের আরও ভালোভাবে গড়ে তোলার সুযোগ নিতে হবে।”
মোমেন বলেন, জলবায়ু অঞ্চলে ভাগাভাগি দায়িত্ব ও সম্মিলিত কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের অবশ্যই একটি টেকসই, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আরও উন্নত করার সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক বিশ্বের পতনকে থামিয়ে দেওয়ার ও বিপরীতমুখী করার প্রচেষ্টা নিয়ে ‘ইউএন ডেকেড অন ইকোসিস্টেম রিস্টোরেশন’ চালু করা হচ্ছে।
এই বছরের বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়বস্তু উল্লেখ করে মোমেন বলেন, প্রতিটি মহাদেশ এবং প্রতিটি মহাসাগরে বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয় রোধ, থামানো এবং বিপরীতমুখী করা দারিদ্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সহায়তা করবে এবং জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে তবেই থিমটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সফল হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে কেবলমাত্র স্বাস্থ্যকর বাস্তুসংস্থার মাধ্যমেই আমরা মানুষের জীবিকা নির্বাহ করতে পারি, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি এবং জীববৈচিত্র্যের পতন বন্ধ করতে পারি। মোমেন বলেন, দূষণকারী না হয়েও বাংলাদেশ বৈশ্বিক দূষণের প্রভাবের শিকার। প্রতি বছর বাংলাদেশ জলবায়ুু অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে বাংলাদেশ যা জিডিপির গড় ২.৫ শতাংশ।
নির্বাচিত ৫০ জন সংগঠক বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্লাইমেট ক্যাম্পে যোগদানকারী ৪০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারীদের ধারণা, সমাধান এবং সর্বোত্তম অনুশীলন সরবরাহ ও জমা দেওয়ার জন্য ‘প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন’ বিষয়ে অংশ নিচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat