বিএনপি কর্মীরা নগরীতে তাদের একটি জনসভায় যাওয়ার পথে রেলওয়ে স্টেশন ও আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ড কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি রেলওয়ে স্টেশনের শ্রমিক-কর্মচারী ও পুলিশ আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর বেলা ১২টার দিকে বিএনপি’র কতিপয় কর্মী-সমর্থক খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়ে এর দরজা-জানালা ভাংচুর করে।
আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা রেলওয়ে স্টেশনে ব্যাপক ভাংচুর চালালে রেলওয়ে কর্মী ও স্থানীয়রা তা প্রতিহত করতে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় বিএনপি কর্মীরা তাদের ওপর ইট-পাটকেল ছঁড়ে মারে।
এ সময় সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা ভাংচুর ঠেকাতে গেলে, বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও অন্য স্টেশন থেকে কিছু লোক খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে বিএনপি’র পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা হুড়োহুড়ি করে ট্রেন থেকে বাইরে বেরুতে চেষ্টা করলে রেলকর্মীরা তাদের বাধা দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে বেরুতে অনুরোধ জানান। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি ও ইটপাটকেল নিয়ে রেলকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় ২০ জন আহত হয়।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল রানা অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিআইডিসি সড়ক দিয়ে নগরীর ডাকবাংলা এলাকায় বিএনপি’র জনসভায় যাওয়ার সময় খালিশপুর নতুন রাস্তা এলাকায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। বিএনপি কর্মীরা এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপরও তারা হামলা চালায়। এতে আওয়ামী লীগের ২০ থেকে ২৫ কর্মী আহত হয়।
তিনি আরো জানান, বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা সমাবেশে যাওয়া সময় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র বহন করে গোটা খুলনা নগরীকে আতঙ্কের নগরীতে পরিণত করে।
এদিকে, বিএনপি’র নগর শাখার আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম মোনার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের মিছিলে হামলা চালায়।
কেএমপি’র উপ-কমিশনার সোনালী সেন জানান, কিছু বহিরাগত খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় রেলকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তারা কর্তব্যরত পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়লে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হন।