ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০২২-১০-২৩
  • ৪২৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বগুড়া জেলায় ৭ বছর বয়সী শিশু মাহি উম্মে তাবাচ্ছুমকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার চারজন আসামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে, অনাদায়ে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
আজ বেলা সাড়ে ১২টায় নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার ধুনট উপজেলার নশরতপুর এলাকার মো. বাপ্পী আহম্মেদ (২২), কামাল পাশা (৩৫), শামীম রেজা (২২) ও লাভলু শেখ (২১)।
রাষ্ট্রেপক্ষের বিশেষ আইনজীবী আশিকুর রহমান সুজন জানান, আসামীরা গত ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ধনুট উপজেলার নছরতপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের একমাত্র কন্যা ৭ বছর বয়সী তাবাচ্ছুমকে ধর্ষণ করে বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। পরে শিশুটিকে খোঁজাখুঁজি করে না পেলে সেই দিনের রাত দেড় টায় সময় পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরে তারা ধনুট থানা ১ জনসহ অজ্ঞাতমানা আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। আসামীদের উপস্থিতিতে ৪ জনকে মৃত্যুদন্ড রায় ঘোষণা করা হয়।
বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার নশরতপুর গ্রামের বেলাল হোসেন খোকন ও তার স্ত্রী মরিয়ম ডেইজি ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতেন। তাদের মেয়ে মাহী উম্মে তাবাচ্ছুম দাদা আব্দুস সবুরের বাড়িতে থেকে স্থানীয় পাঁচথুপি-নশরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর গ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থান চত্বরে দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শিশু তাবাচ্ছুম তার দাদা ও ফুফুর সঙ্গে তাফসির শুনতে যায়। এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে সে মিষ্টি কিনতে মঞ্চের পাশের দোকানে যায়। বাপ্পী শিশুটিকে দেখতে পেয়ে বাদাম কিনে দেয়ার কথা বলে তাবাচ্ছুমকে স্থানীয় হাজী কাজেম জুবেদা টেকনিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে বাপ্পী তার তিন বন্ধু কামাল পাশা, শামীম রেজা ও লাবলু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরেরদিন ১৫ ডিসেম্বর নিহত তাবাচ্ছুমের বাবা খোকন অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
২৫ ডিসেম্বর রাতে প্রথমে বাড়ি থেকে শামীম রেজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে বাপ্পী, রেজা ও লাবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে চারজনই শিশু তাবাচ্ছুমকে ধর্ষণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করে।
এরপর ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর চারজনকে অভিযুক্ত করে ধুনট থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর(তদন্ত) জাহিদুল হক চার্জশিট জমা দেন। সব সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাড, মন্তেজার রহমান মন্টু, এ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন, এ্যাড, আব্দুর রশিদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat