যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়িত্ব নেয়ার প্রথমদিনই প্রায় ডজনখানেক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে হবে। শনিবার তার একজন শীর্ষ সহযোগী এ খবর জানান।
বাইডেনের অভিষেককে ঘিরে সহিংসতার আশংকায় দেশজুড়ে নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি কার্যত সমরাঙ্গনে রূপ নিয়েছে। এখানেই বুধবার দুপুরে বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
এদিকে এ উপলক্ষে নেয়া ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যেই কর্তৃপক্ষ চেকপয়েন্টে সশস্ত্র এক ব্যক্তিকে আটকের খবর জানিয়েছে। তার কাছে গুলিভরা হ্যান্ডগান এবং গোলাবারুদ পাওয়া গেছে।
তবে গ্রেফতার হওয়া ওই লোক জানিয়েছে, এটি একটি অসতর্ক ভুল। সে নিজেকে বেসরকারি নিরাপত্তা গার্ড হিসেবে দাবি করে বলেছে , রাজধানীর কাছে তার কাজে যাওয়ার সময়ে সে পথ হারিয়ে ফেলেছে।
ক্ষমতা নিতে যাওয়া বাইডেনের চিফ অব স্টাফ রন ক্লেইন হোয়াইট হাউসের নতুন সিনিয়র স্টাফের কাছে এক স্মারকে উল্লেখ করেন নতুন নির্বাহী আদেশগুলো হবে মহামারি, ভঙ্গুর অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আমেরিকার বর্ণবাদ সংক্রান্ত।
ওই স্মারকে ক্লেইন উল্লেখ করেন, এ সকল সংকটের জন্যই জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে যে আমেরিকাকে বাইডেন পাচ্ছেন সে আমেরিকা করোনা মহামারিতে পর্যুদস্ত, অর্থনীতি ভঙ্গুর, বেকারত্ব চরম সীমায় গিয়ে পৌঁছেছে। এছাড়া ট্রাম্পের বিভাজন নীতির কারণে তৈরি হওয়া সংকটও মোকাবেলা করতে হবে বাইডেনকে। এ সবের সাথে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাসের আশংকা।
বাইডেনের দেয়া পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শপথের প্রথম দিনই তাকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে হবে। ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে করা প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন।
এছাড়া রয়েছে নির্দিষ্ট মুসলিম সংখ্যাগরিষষ্ঠ দেশগুলো থেকে আসা লোকজনের প্রবেশের ওপর ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া।
ক্ল্ইেন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ভয়ংকর ক্ষতিকর দিকগুলো কেবল উল্টে দেয়াই নয় নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপও নিতে শুরু করবেন।