চীনের পূর্বাঞ্চলে ভূগর্ভে আটকে পড়া খনি শ্রমিকরা উদ্ধারকারীদের কাছে একটি চিরকুট পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। একটি সোনার খনিতে বিস্ফোরণ জনিত দুর্ঘটনার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর তারা চিরকুটটি পাঠাতে সক্ষম হয়। স্থানীয় সরকার সোমবার এ কথা জানায়। খবর এএফপি’র।
আটদিন আগে গত রোববার বিকেলে পূর্ব শানডং প্রদেশের কিক্সিয়া শহরের কাছে এক খনিতে বিস্ফোরণটি ঘটে, এতে করে খনির প্রবেশপথ থেকে ৬০০ মিটারেরও বেশি গভীরে খনির অভ্যন্তরে ২২ জন আটকে পড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে ভেতরে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না হওয়ায়, উদ্ধারকর্মীরা রোববার বিকেলে খনিটি ড্রিল করেন। তারা জানান, তারা “নক করার শব্দ” শুনতে পান।
স্থানীয় সরকার সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,পওে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছ থেকে প্রেরণ করা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটটিতে ১২ জন এখনও বেঁচে আছে বলে জানানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “আমাদের শীতের ওষুধ, ব্যথানাশক, চিকিৎসা টেপ, বহ্যিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধের জরুরি প্রয়োজন এবং তিনজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।”
চিরকুট পড়ে আরো জানা যায়, চার জন আহত হয়েছে। এতে বলা হয়, ”আমরা এখনও আশাবাদি, আমরা মনে করি যে উদ্ধারকারীরা থেমে থাকবেন না। ধন্যবাদ।” তবে এতে অন্য ১০ শ্রমিকের অবস্থা সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রীয় স¤প্রচার সিসিটিভি থেকে প্রাপ্ত ফুটেজে উদ্ধারকারীরা আটকে পরা খনি শ্রমিকদের খাবারের পার্সেলগুলি ধাতব তারে সাথে সংযুক্ত করে প্রেরণ করতে দেখা গেছে, আবার পরে তারটি টেনে আনার সময় চিরকুটটি সংযুক্ত থাকতে দেখা যায়।
শানডং উইসাইলং ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানী লিমিটেডের মালিকানাধীন খনিটির বিস্ফোরটিতে যোগাযোগ পদ্ধতি ও খনি থেকে বেড়িয়ে আসার ব্যবহার্য মইটি অত্যন্ত খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরেছে। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
চীনে প্রায়ই খনির দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। শহরের এক ভূগর্ভস্থ কয়লা খনিতে আটকা পড়ে কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় ১৬ জন মারা যাওয়ার মাত্র কয়েকমাস পর ডিসেম্বরে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চংকিংয়ের একটি খনিতে আটকা পড়ে ২৩ শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে।