ব্রেকিং নিউজ :
নদী রক্ষার বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান ফরিদা আখতারের শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে: জিকে গউছ কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ চলনবিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডা’কে সহযোগিতা করতে চায় বিএমসিসিআই ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২১-০২-১৩
  • ৬৭০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 ১৮১২ সালে নেপোলিয়ানের ব্যর্থ মস্কো অভিযানের বিপর্যয়ে নিহত ফরাসি ও রুশ সৈন্যদের দেহাবশেষ শনিবার পুনরায় সমাধিস্থ করার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ্ঐক্যের এক বিরল মুহূর্ত সৃষ্টি হবে।
রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় স্মোলেনস্ক নগরীতে ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযানে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিহতদের ১২৬ জনের দেহাবশেষ পুনরায় সমাধিস্ত করা হবে।
সামরিক নেতাদের মৃত্যুতে ফ্রান্সের দ্বিবার্ষিক স্মরণ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এ বছর প্রায় ২০০ বছর আগে নিহত সৈন্যদের দেহাবশেষ পুনরায় সমাধিস্ত করা হচ্ছে।
মস্কোর ২০০ কিলোমিটারের বেশী পশ্চিমে ভিয়েজমা শহরে সমাধিস্থলে নিহতদের বংশধর এবং কয়েক ডজন রি-এনক্টর যোগ দেবেন। রি-এনক্টরা যুদ্ধকালীন সময়ের আবহ তুলে ধরবেন।
উভয় দেশের প্রতœতাত্ত্বিকরা ২০১৯ সালে এক গণকবরে ১২০ সৈন্য, ৩ নারী ও ৩ টিনেজারের দেহাবশেষ আবিস্কার করেন।
এই খননে নেতৃত্ব দেন ক্রেমলিনের সঙ্গে যুক্ত ফাউন্ডেশন ফর দ্য ডেভলপমেন্ট অব রাশিয়ান-ফ্রেন্স ঐতিহাসিক উদ্যোগের প্রধান পিয়েরে ম্যালিনোভস্কি।
ধারণা করা হচ্ছে তিন নারী “ভিভেনডিয়ের্স” বা ফরাসি বাহিনীর অভিযানের সঙ্গে যুক্ত, তারা সৈনিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতেন এবং ক্যান্টিনে দায়িত্ব পালন করতেন এবং তিন কিশোর বাদকদলের সদস্য ছিলেন।
ধারণা করা হয়, বেরেজিনা নদী অতিক্রমের ভয়ংকর পরিস্থিতির আগে মস্কো থেকে নেপোলিয়নের বাহিনী প্রত্যাহারের শুরুতে ৩ নভেম্বর (১৮১২) ভিয়েজমা যুদ্ধে তাদের মৃত্যু হয়।
রাশিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান কঠোর অভিযান এবং রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে চড়া উত্তেজনার মধ্যে গান-স্যালুটের মাধ্যমে যুদ্ধে নিহতদের স্মরণ ও সমাধিস্ত করার এই অনুষ্ঠান ঐক্যের এক বিরল মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
পিয়েরে ম্যালিনোভস্কি এএফপিকে বলেন, যুদ্ধে অংশ নেয়া ফ্রান্স ও রাশিয়া দুই পক্ষের সমর নেতাদের বংশধররা এখানে একত্রিত হয়েছেন, এই পুনর্মিলনে তারা ২০০ বছরের বেশী সময় আগে নিহতদের স্মরণ করেছেন।
নেপোলিয়নের অভিযান প্রতিহতকারী জাতীয় বীর হিসেবে বিবেচিত রাশিয়ান ফিল্ড মার্শাল মিখাইল কুতুজভের বংশধর ইউলিয়া খিতরোভো বলেছেন, “মৃত্যু তাদের সমতা তৈরি করেছে : তারা এখন সবাই এক কবরে।”
নেপোলিয়নের অন্যতম এক সেনাপতির বংশধর প্রিন্স জোয়াসিম মুরাত বলেছেন, একদা যুদ্ধের পক্ষগুলোর মধ্যে এই অনুষ্ঠান “পারস্পরিক শ্রদ্ধার প্রতীক” হয়ে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat