প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ও চীনের মধ্যে প্রথম দফার আলোচনা ‘কঠিন ও মুখোমুখী’ ছিল। বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিশালী এ দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলার প্রেক্ষাপটে তারা এ আলোচনা শুরু করে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র এক কর্মকর্তা এমন কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
উভয় দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের সাথে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ বৈঠকে তাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি বিতর্কের এক পর্যায়ে চরম উত্তেজনাপূর্ন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ওয়াশিংটন চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করায় এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে বেইজিংয়ের ইয়ং জিচি তার দেশের ‘শ্বাসরোধ’ করার চেষ্টা করায় আমেরিকানদের অভিযুক্ত করেন।
তবে আলাস্কার হিমশীতল অ্যাঙ্করেজে তিন দফার আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন বলেন, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এ দুই দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে বের করেছে যেখানে তাদের স্বার্থ চাপা পড়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, হংকং ও তাইওয়ানের ব্যাপারে বেইজিংয়ের আচরণ এবং সাইবারস্পেসের ক্ষেত্রে তাদের পদক্ষেপ প্রশ্নে আমেরিকা তাদের উদ্বেগের কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।
ব্লিনকেন বলেন, ‘তবে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বিষয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে অত্যন্ত খোলাখুলিভাবে আলোচনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইরান, উত্তর কোরিয়া, আফগানিস্তান, জলবায়ু ইস্যুতে আমাদের বিভিন্ন স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া পরিবেশিত খবরে বলা হয়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, বেইজিং আশা করে যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো পূরণ করবে।
সিনহুয়া জানায়, তবে ওয়াং ‘যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, সার্বভৌমত্ব এবং ভূখন্ডগত অখন্ডতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অন্যতম।
সিনহুয়া জানায়, ওয়াং বলেন, জাতীয় সম্মান এবং আইনসঙ্গত অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে চীনের জনগণের ইচ্ছাকে খাটো করা উচিত হবে না।
দুই মাসের বাইডেন প্রশাসনের সাথে চীনের এ আলোচনায় বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময়ের কথা থাকলেও তাদের মধ্যে কোন চুক্তি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।