শীত ও তুষারপাতে অভ্যস্ত উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় চলছে ভয়াবহ দাবদাহ। তীব্র গরমের কারণে গত শুক্রবার থেকে দেশটির দক্ষিণ ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় ২৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
পুলিশ জানায়, তারা ‘হঠাৎ করে’ মারা গেছেন। গরমে মারা যাওয়াদের বেশিরভাগই বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক।কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার, এই দুই দিনে তারা প্রায় ৭০ জনের মৃত্যুর কথা জানতে পেরেছে। তাদের অনেকেই বয়স্ক নাগরিক। মৃত্যুর কারণ হিসেবে চলমান তীব্র গরমই দায়ী বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে, দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মঙ্গলবার। এদিন দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লিটনে তাপমাত্রা ছিল ৪৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা নিয়ে টানা তৃতীয় দিন দেশটিতে তাপমাত্র নতুন রেকর্ড করলো। এর আগে গত রবিবার দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একটি গ্রামের তাপমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন দেশটির ইতিহাসে এটিই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
বিবিসি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কানাডার তাপমাত্রা কখনোই ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়নি। আর টানা ৩ দিন ধরে তাপমাত্রা নতুন রেকর্ড করায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা অসহায় হয়েই একে-অপরের খোঁজ রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের কর্পোরাল মাইক কালনজ। তিনি বলেছেন, ‘আপনার প্রতিবেশিদের খোঁজ-খবর রাখুন, পরিবারের সদস্যদের খোঁজ রাখুন। এমনকি আপনি যেসব বয়স্ক মানুষকে জানেন, তাদেরও খোঁজ নিন।’
চলমান এই সংকটকে ‘নজিরবিহীন সময়’ উল্লেখ করে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার রাজ্যের প্রধান করোনার লিসা ল্যাপোন্তে বলেছেন, গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে দাবদাহ। যেসব এলাকায় তীব্র তাপ অনুভুত হয়েছে সেসব এলাকাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। রাজ্যের অন্যান্য স্থান থেকে এখনো তথ্য আসছে। শঙ্কা আছে মৃতের সংখ্যা বাড়ার।
এক বিবৃতিতে করোনার জানান, প্রাকৃতিকভাবে তাপমাত্রার এরকম পরিবর্তন ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসতে পারে। যার প্রভাব পড়বে বৃদ্ধ, নবজাতক, শিশু ও বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের ওপর।