ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে বিধ্বস্ত সামরিক বিমানের ডাটা বক্সের সন্ধানে সোমবার নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালায়। এদিকে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হয়েছে।
রোববার সকালে ৯৬ আরোহী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। কর্মকর্তারা এ খবর জানান।সুলু প্রদেশের জোলো দ্বীপে সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানটি অবতরণকালে রানওয়ে থেকে ছিটকে গেলে এতে আগুন ধরে যায়। নিহত ৫০ জনের মধ্যে ৪৭ জন সৈন্য এবং বাকী তিন জন বেসামরিক লোক। এছাড়া আহত হয়েছে ৪৯ জন সামরিক ও চারজন বেসামরিক লোক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সামরিক বাহিনীর পাঁচজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। গত ৩০ বছরের মধ্যে ফিলিপাইনে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা।সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল এডগার্ড আরেভালো জানান, আমরা যেসব টুকরো বিশেষ করে ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারের টুকরোগুলো উদ্ধার করতে পারবো সেসব সমন্বয় করে খতিয়ে দেখার লোক আমাদের রয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা ছাড়াও আমরা পাইলট এবং ক্েট্রাল টাওয়ারের সাথে পাইলটের কথোপকথনের রেকর্ডিংও পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে জঙ্গিরা তল্লাশি প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে না পারে। ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল সিরিলিতো সোবেজানা বলেন, রোববার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুলু প্রদেশের জোলো শহরের কাছে সামরিক বাহিনীর ওই বিমান বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কাগায়ান দে ওরো এলাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও যাচ্ছিল বিমানটি।এদিকে দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিধ্বস্ত বিমানটির ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে বিমানটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। গাছগাছালি পরিবেষ্টিত একটি স্থানে বিধস্ত হয় বিমানটি। দুর্ঘটনাস্থলের কাছে কিছু ভবনও দেখা যায়।
বিমানটির আরোহীর অধিকাংশই সেনা গ্রাজুয়েট। এরা সম্প্রতি সেনাবাহিনীর বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছিল। তাদের দেশটির মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেয়ার জন্য পাঠানো হচ্ছিল।