তাইওয়ানকে চাপে রাখা প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সতর্ক করে দিয়েছে। বিশ্বের ক্ষমতাধর এ দুই দেশ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করার মধ্যেই ওয়াশিংটন এমন বার্তা দিলো। খবর এএফপি’র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সাথে কথা বলেন এবং তাইওয়ানের ওপর পিআরসি’র সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।’
ওয়াশিংটন সময় সোমবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভার্চুয়াল বৈঠকের কথা রয়েছে।
ব্লিনকেন ও ওয়াং এ বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার কথা বলেন। এদিকে মার্কিন এ মন্ত্রী আন্ত:প্রণালী সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে এবং তাইওয়ানের জনগণের আকাক্সক্ষা ও বৃহত্তর স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে একটি অর্থবহ সংলাপে অংশগ্রহণে বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। স্বশাসিত গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। কেননা, চীন তাইওয়ানকে তাদের ভূখন্ডের অংশ দাবি করে আসছে।
চীনের সামরিক বাহিনী গত মাসে এ দ্বীপ দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা জোন রেকর্ড সংখ্যকবার লঙ্ঘন করে।
ওয়াশিংটন চীনের সামরিক বাহিনীর এ অভিযানকে আগ্রাসন হিসেবে অভিহিত করে তাইওয়ানের প্রতি তাদের সমর্থনের ইঙ্গিত পুনর্ব্যক্ত করে।