সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, শিক্ষার সূতিকাগার গ্রন্থাগার। যে দেশে গ্রন্থ ও গ্রন্থাগারের কদর বেশি, সে দেশ শিক্ষা-দীক্ষায় তত উন্নত।
তিনি বলেন, ‘জ্ঞানের আলো ছড়ানোর মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করছে গ্রন্থাগার ও তথ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত গ্রন্থাগারিকগণ। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গ্রন্থাগারিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ও পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি (এলএবি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্স, গ্রন্থাগার পেশাজীবীদের মহাসম্মেলন ও এলএবি এর ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কে এম খালিদ বলেন, বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। সেজন্য দেশের ৭১টি সরকারি গণগ্রন্থাগারের পাশাপাশি বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহের ডিজিটাইজেশনে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রতিমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির যৌক্তিক দাবিসমূহ পূরণের আশ্বাস প্রদান করেন ও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি ড. মো. মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী ও বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হামিদুর রহমান। সমাপনী অধিবেশনে কি-নোট স্পিকার ছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. দিলারা বেগম।