ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলেনবার্গ শুক্রবার বলেছেন, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন মোকাবেলায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে ন্যাটো জোট এই প্রথমবারের মতো দ্রুত পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের মতো বাহিনী মোতায়েন করছে। খবর এএফপি’র।
ন্যাটো নেতাদের অংশগ্রহণে এক ভিডিও সম্মেলনের পর স্টলেনবার্গ বলেন, ‘বর্তমানে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ইউক্রেন বাহিনী সাহসিকতার সাথে লড়াই করে যাচ্ছে এবং তারা সত্যিকার অর্থে আগ্রাসী রুশ বাহিনীর ক্ষতি সাধনে পারদর্শিতা দেখাতে সক্ষম হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ব্যাপক পরিসরে রাশিয়ার ‘ইউক্রেন আগ্রাসন চলছে। তারা রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং মস্কো বলেছে, ইউক্রেন সরকারের পরিবর্তন করা হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য।’
স্টলেনবার্গের সতর্ক বাণী হচ্ছে, ক্রেমলিনের আগ্রাসন নন-ন্যাটো সদস্য দেশ ইউক্রেনের পাশের ইউরোপের সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক ‘নতুন স্বাভাবিক’ হুমকি সৃষ্টি করেছে।
স্টলেনবার্গ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আমাদের বাধা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছি।’
‘গতকাল, ন্যাটোর মিত্র দেশগুলো আমাদের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা কার্যকর করেছে। এর ফলে, আমরা আমাদের অবস্থান আরো জোরদারে এবং যে কোন দৈবঘটনা দ্রুত মোকাবেলায় স্থল, নৌ ও আকাশ সীমান্তে ন্যাটো রেসপঞ্জ ফোর্স (এনআরএফ)’র বিভিন্ন শক্তি মোতায়েন করছি।’
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের আগ্রাসন শুরুর পর পূর্বাঞ্চলীয় সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মিত্র দেশগুলোর হাজার হাজার সৈন্য পৌঁছেছে।
স্টলেনবার্গ বলেন, ‘আমরা শতাধিক যুদ্ধবিমান সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রেখেছি এবং ৩০টির বেশি আলাদা স্থানে তা পরিচালনা করা হচ্ছে। তাছাড়া একেবারে উত্তরাঞ্চল থেকে ১২০টির বেশি জাহাজ ভূমধ্যসাগরে পাঠানো হচ্ছে।’
কোথায় পাল্টা বাহিনী পাঠানো হচ্ছে সে ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তিনি বলেন, এটি ন্যাটোর শীর্ষ কমান্ডারের ওপর ন্যস্ত রয়েছে।