ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে মঙ্গলবার এক ব্যক্তি কয়েক জনকে ছুরিকাঘাত করেছে এবং আরেক জনের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় চারজন নিহত হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী ‘সন্ত্রাসীদের’ দমনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। খবর এএফপি’র।
পুলিশ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মীরা জানান, স্থানীয় সময় বিকেল চারটার পর পরই (গ্রিনিচমান সময় ১৪০০টা) ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বীরশাবা নগরীর একটি গ্যাস স্টেশন ও একটি শপিং সেন্টারের বাইরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, গ্যাস স্টেশনে আসার পর ওই হামলাকারী তার গাড়ি থেকে নামে এবং এক নারীকে ছুরিকাঘাত করে।
পরে সে তার গাড়িতে উঠে ওই শপিং সেন্টারের বাইরে বাইসাইকেলে করে যাওয়া ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়।
পুলিশ ও জরুরি হাসপাতাল সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড আদম (এমডিএ) জানায়, সন্দেহজনক ওই ব্যক্তি পরে আবারো তার গাড়ি থেকে নেমে ওই শপিং সেন্টারে অন্যদের ছুরিকাঘাত শুরু করে।
পুলিশ জানায়, ‘ঘটনাস্থলে থাকা বেসামরিক নাগরিকরা সন্দেহজনক ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে সে প্রাণ হারায়।’ এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা হয়নি।
এমডিএ’র এক মুখপাত্র এএফপি’কে বলেন, এ হামলার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেতের দপ্তর থেকে বলা হয়, এ বর্বর হামলার পর তিনি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারের সাথে পরামর্শ করেন।
পরে অভিযুক্ত এ হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা ব্যক্তিদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারা সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং তার হাত থেকে আরো মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর ‘নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী টুইটার বার্তায় বলেন, সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি তাদেরকে সহায়তা করা ব্যক্তিদের পাকড়াও করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
এদিকে এ হামলার পর গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ করা ফিলিস্তিনি ইসলামি গ্রুপ হামাস বিবৃতি দিয়ে এ ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে ইসরাইল এ ঘটনায় ফিলিস্তিনিদের দায়ী করে।