পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন আজ বলেছেন, ঢাকা র্যাব ও র্যাবের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ওয়াশিংটন ডিসি’র প্রতি আহবান জানিয়েছে এবং মানবাধিকার সমস্যা মোকাবিলায় গৃহীত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার কথা যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে।
চলতি সপ্তাহে ৮ম বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব সংলাপে যোগ দিতে ঢাকা সফরকালে রাজনীতি বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের সাথে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “তারা (যুক্তরাষ্ট্র) (র্যাবের সাম্প্রতিক কার্যক্রমের ব্যাপারে) খুশী। আমরা বলেছি যে, আমরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যবস্থা ও বিচারিক প্রক্রিয়া রয়েছে।
এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় তিনি বলেন, ‘আগে আমরা এ গুলো জোরালোভাবে বলিনি। এখন আমরা বলছি।’
ড. মোমেন বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়েরই গণতন্ত্র সম্পর্কে অভিন্ন মূল্যবোধ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভালোমন্দ উভয় সময়েই আমাদের সঙ্গে থাকে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত ১৩ থেকে ১৪ বছরে গণতন্ত্র সুষ্ঠুভাবে চলছে, এমন পরিস্থিতি আগে ছিল না।
মোমেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আসন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
অংশীদারিত্ব সংলাপে অংশ নেওয়ার পর মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড বলেছেন, “আমরা এই (মানবাধিকার) বিষয়গুলো প্রতিকারের বিষয়ে গত তিন মাসে অগ্রগতি দেখেছি।”
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র র্যাব এবং র্যাবের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।