ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৪-০৭
  • ৬৮২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে খাদ্যের কোন সংকট নেই, একটি মানুষও না খেয়ে নেই। অথচ বিএনপির একদল নেতা সারাদিন শুধু টেলিভিশনে ও পত্রপত্রিকায় খাদ্য সংকটের কোরাস গেয়ে চলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও ঘিওর উপজেলায় ব্রি-ধান ৮৯ ও ৯২ এর বীজ উৎপাদন মাঠ পরিদর্শনকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী ও সুশীলসমাজও খাদ্য সংকট নিয়ে বিএনপির কোরাসের সাথে সুর মিলিয়েছে। কোরাস গাওয়ার আগে বিএনপি ও সুশীল সমাজকে ২০০১-০৬ সময়ের দিকে ফিরে তাকাতে আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া-তারেক রহমানরা যখন ক্ষমতায় ছিল, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনই মানুষ না খেয়ে থেকেছে, প্রতিবছর মঙ্গায় শত শত মানুষ না খেয়ে মারা গেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চালের উৎপাদন বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান ৮৯ ও ব্রি ৯২ দ্রুত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এ দুটি বোরো জাতের ধানের উৎপাদন প্রতি শতাংশে প্রায় ১ মণ। এসব জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য এবার কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ দেয়া হয়েছে। প্রণোদনাও দেয়া হবে।
কৃষিজমি রক্ষায় সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিল্পায়নও করতে হবে, আবার কৃষিজমিও রক্ষা করতে হবে। কৃষিজমি রক্ষায় যে আইন হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপপ্রতিনিধিসহ সবাই মিলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবছর ধানবীজ উৎপাদনের জন্য মানিকগঞ্জের ১৬টি স্পটে ১০৪৪ বিঘা জমিতে ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এর আবাদ হয়েছে। ৮১৪ জন কৃষক এ বীজ ধান চাষ করেছেন।
মানিকগঞ্জের উপ-পরিচালক এনায়েত উল্লাহ জানান, তাদের হিসাবে (১০৪৪ বিঘা জমি থেকে) এবছর জেলায় প্রায় ১ হাজার টন ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ ধানবীজ উৎপাদন হবে। যা দিয়ে আগামীবছর ৪০ হাজার হেক্টর বা ১ লক্ষ একর জমিতে ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ চাষ করা যাবে এবং তাতে ৫০ হাজার টন বাড়তি ধান উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
পরিদর্শনকালে কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো: শাহজাহান কবীর, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহা. আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান, কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat