ফ্রান্সে রোববার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং কট্টর ডানপন্থী নেতা মেরিন লো পেনের মধ্যে পাঁচ বছর আগের তুলনায় এবার অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে অস্বাভাবিক প্রচারণার পর ফ্রান্সের মূল ভূখন্ডে গ্রিনীজ মান সময় ০৬০০টায় ভোট গ্রহন শুরু হয়। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ভোটের ফলাফল অপ্রত্যাশিত হতে পারে।
সময়ের ব্যবধানের কারণে কানাডার উপকূলে সেন্ট পিয়ের ও মিকলন দ্বীপ, ক্যারিবিয়ান ভূখ- এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফরাসি দ্বীপগুলিতে ইতিমধ্যে শনিবার ভোট গ্রহন করা হয়েছে।
জরিপের ভিত্তিতে ধারনা করা হচ্ছে যে, ম্যাক্রোঁ প্রথম রাউন্ডে লো পেনের চেয়ে এগিয়ে যাবেন। সবচেয়ে বেশি ভোটপ্রাপ্ত ২ প্রার্থীর মধ্যে ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে চূড়ান্ত বিজয় নির্ধারিত হবে।
বামপন্থী প্রার্থী জাঁন-লুক মেলেনচন তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তবে এখনও তিনি দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছানোর সম্ভাবনা কল্পনা করছেন।
প্রচারাভিযানের সময় লো পেন কিছুটা সফলতার সাথে ক্রমবর্ধমান পণ্যমূল্যের বিষয়ে ভোটারদের দৈনন্দিন উদ্বেগ এবং তার আরো উদার ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তবে তার বিরোধীরা তাকে সমাজকে বিভক্ত করার জন্য আগ্রহী চরমপন্থী হিসেবে অভিযুক্ত করে।
বিপরীতে ম্যাক্রোঁ তুলনামূলকভাবে কম প্রচারণা চালিয়েছেন, তার নিজের স্বীকারোক্তি ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে তিনি যখন চেয়েছিলেন তার চেয়ে অনেক পরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।
রোববার গ্রীনিজ মান সময় ১৮০০ টায় এ ভোট শেষ হওয়ার সাথে সাথে ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেলগুলি চূড়ান্ত ফলাফল সম্প্রচার করবে, যা সাধারণত অত্যন্ত নির্ভুল হয়ে থাকে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ম্যাক্রো ও লো পেন দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছাবেন। বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ২০১৭ সালের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন হবে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বিকে ৬৬ শতাংশ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
অনেক বেশি সংখ্যক ভোটার এখনও সিদ্ধান্তহীন বা যারা প্রচারণার সময় তাদের মন পরিবর্তন করেছেন সেইসাথে অনুপস্থিত ভোটারদের দিকে ইঙ্গিত করে ফরাসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্যাসকেল পেরিনিউ বলেছেন, "প্রথম রাউন্ডের পর একটি অনিশ্চয়তা রয়েছে।"