ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৭
  • ৭০১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

বগুড়া জেলার কোরবানীর হাটে বেশ সাড়া ফেলেছে হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় ‘হিরো আলম’। ২২ মণ ওজনের এই গারুটির দাম হাঁকা হয়েছে ৭ লাখ টাকা।জেলা শহরের ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ায় নিজ বাড়ির খামারে জন্ম নেয়া ফ্রিজিয়ান জাতের এ বাছুরটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে পালন করেছেন খামারি জিয়াম প্রামাণিক। বাছুর থেকে সাড়ে তিন বছরের এখন বিশাল দেহী পশু।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে গোটা জেলা জুড়েই বেশ আলোচনায় স্থান করে নিযেছে ষাড় হিরো আলমকে নিয়ে। পাশাপাশি তাকে দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই।কোরবানীর উপযোগী হিরো আলমের ওজন হয়েছে ৮৮০ কেজি তথা ২২ মণ। পশুটির দৈর্ঘ্য ৮ ফুট এবং উচ্চতা ৬ ফুট।
হিরো আলমের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় থাকে তাজা ঘাস, খৈল, ভুসি, খর, কলা, ভ্ট্টুা ও নাজির শাইল চালের খুদ। একই সাথে ভালোবাসার পশুটির যতেœও অবহেলার ঘাটতি রাখছেন না এ যুবক।
খামারি জিয়াম জানালেন, সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি হিরো আলমকে ভালোবেসেই তিনি এ ষাড়ের নাম রেখেছেন। তার চাওয়া এ পশুটি বিক্রি হয়ে যাওয়ার একদিন আগে হলেও যেন ব্যক্তি হিরো আলম গরুটি দেখতে আসেন।
হিরো আলমকে নিয়ে প্রত্যাশার পাশাপাশি হতাশার সুরও ঝড়লো জিয়ামের কন্ঠে। তার কথায়, আমার মতো যারা ক্ষুদ্র খামারিরা আছেন তারা অনেক স্বপ্ন ও ভালোবাসা দিয়ে বছরের একটি কিংবা দুটি গরু লালন পালন করেন। তবে স্থানীয় বেশকিছু বৃহৎ গরু খামারিদের বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আমরা বিপাকে পড়ছি। তিনি বলেন অনেক বড় বড় খামারী বাবার দেয়া বিশাল অংকের টাকা নিয়ে খামার গড়েছেন। তারা নিজেকে সফল উদ্যেক্তো খামারী হিসাবে গণমাধ্যমে জানাচ্ছে। তিনিবলেন উদ্যোক্ত কাকে বলে? যারা দুই একটি পশু থেকে ধীরে ধীরে বড় খামারী হয়ে ওঠে তারা উদ্যোক্ত। এ সব উদ্যেক্তো সামাজিক যোগাযোগ মধ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে প্রকৃত ছোট ছোট উদ্যোক্তদের পশু পালন ও বিক্রি প্রতিবন্ধতকার সৃষ্টি করছে। এদের কারণে ছোট ও মাঝারী উদ্যেগে নষ্ট হচ্ছে।
তার কথায়, নিজের বাড়িতে জন্ম নেয়া গরুকে লালন পালন করে বড় করেছেন্ অন্যরা হাট-বাজার থেকে গরু কিনে এনে ৬ মাস লালন-পালনকরে কোরবানীর জন্য।
আমরা যারা কষ্ট করে গরু লালন পালন করি তারা কোন প্রকার ক্ষতিকারক ট্যাবলেট কিংবা ইনসুলিন ব্যবহার করি না। এতে করে কোরবানী যোগ্য পশু সুস্থ থাকে। ক্রেতাও ভালো পশু কিনতে পারেন।
এদিকে নিজের নামে গরুর নাম রাখায় খুশি হিরো আলমও। ভক্তরা ভালোবেসেই তার নাম ব্যবহার করছেন বলে দাবি তার ।
হিরো আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি জানান, মানুষ আমাকে ভালোবাসে বিধায় তারা আমার নাম ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয়, নানা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো আমার নাম ব্যবহার করে নানা পণ্য তৈরি করছে।
হাটে নয় বরং শখের হিরো আলমকে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জিয়াম। আর দরদামে মিললে সেই ভাগ্যমান ক্রেতার হাতেই হিরো আলমকে তুলে দিতে চান এ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat