ইলেকট্রনিক বা অনলাইন পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন জমার আগ্রহ বাড়ছে করদাতাদের। আজ বুধবার অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ১ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।এই পদ্ধতি সহজ ও করদাতাবান্ধব হওয়ায় করদাতারা এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছে রাজস্ব প্রশাসন।
আগামী ৩০ নভেম্বর ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। তবে করদাতা চাইলে কর অফিসে আবেদন করে রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়াতে পারেন।
এদিকে,অনলাইন পদ্ধতিতে ১ লাখ রিটার্ন দাখিলের মাইলফলক স্পর্শ হওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কেক কেটে সেটি উদযাপন করেছে। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআরের অনলাইন করসেবায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য জাহিদ হাসান বলেন, ‘ই-রিটার্ন থাকার অনেক সুবিধা রয়েছে। এটা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করা যাবে, ই-পেমেন্ট করা যাবে, ঘরে বসে সনদ নেয়া যাবে, আয়কর রিটার্নের কপি নেয়া যাবে এবং রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।’ এই পদ্ধতি সহজ ও করদাতাবান্ধব হওয়ায় করদাতারা অনলাইন রিটার্ন দাখিলের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
জাহিদ হাসান বলেন, চলতি অর্থবছরে আজ ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইন পদ্ধতিতে ১ লাখ ৪ হাজার রিটার্ন জমা পড়েছে। ৩০ নভেম্বরে মধ্যে এর সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে অনলাইন পদ্ধতিতে মোট ৬১ হাজার রিটার্ন জমা পড়ে। এবছরও সময় বাড়িয়ে করদাতারা ৩০ জুন পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
যাঁদের মোট সম্পদ ৪০ লাখ টাকার নিচে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তাঁরা এক পাতার ফরম পূরণ করে আয়কর রিটার্ন অনলাইনে জমা দিতে পারবেন। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার ক্ষেত্রে পুরুষ করদাতার বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা, মহিলা অথবা ৬৫ বছরের বেশি পুরুষ করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে ৩ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী করদাতার ক্ষেত্রে সাড়ে ৪ লাখ টাকা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করমুক্ত।