ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৮-২৭
  • ৫৮৪৮ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার অন্যায়-অবিচার, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করেছেন।  
আগামীকাল বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আব্দুল জব্বারকে জাতির পিতা বিশেষ স্নেহ করতেন এবং ভালোবাসতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি ও মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। অন্যায়-অবিচার, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে তিনি সংগ্রাম করেছেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে। অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান আব্দুল জব্বারের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উৎসাহিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, প্রাক্তন জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ভাষা সৈনিক আব্দুল জব্বার ১৯৬২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতফেরী, প্ল¬্যাকার্ড প্রদর্শন ও শোভাযাত্রা করার কারণে গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। ১৯৬৪ সালে তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কুলাউড়া শহরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৮ এ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে তিনি উল্লে¬খযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এর প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে আবারও ঈদুল আজহার রাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অন্যতম খুনি মেজর নুর কারাভ্যন্তরে তাঁকে রাতভর অমানষিক নির্যাতন করে এবং ভোরে ব্রাশ ফায়ার করতে উদ্ধত হলে মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। মুক্তি পেয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে আবারও তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।
প্রধানমন্ত্রী মহান আল্ল¬াহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat