ব্রেকিং নিউজ :
গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ: ওবায়দুল কাদের ইনজুরির কারণে ডিফেন্ডার কারভাহালকে হারালো রিয়াল ঐশ্বরিয়ার বাড়ির সামনে পাপারাজ্জিদের ভিড়! দেশ রক্ষায় নদী বাঁচানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর শিল্পকলা একাডেমিতে গণজাগরণের সংগীত ও বরিশাল বিভাগীয় সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত মোংলা ইপিজেডে চীনা কোম্পানির প্রথম কম্পোজিট কারখানা স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বাংলাদেশ কৃষিখাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে : রাষ্ট্রপতি পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় ২২২৩ কোটি ডলার সরকার কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী শ্রম অধিকার নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি: বাণিজ্য সচিব
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১১-১৯
  • ৩৪৬০০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে হিট-নট-বার্ন বা ই-সিগারেট একটি নতুন অস্ত্র। যা এ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষায় এখনই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা জরুরি।
 রাজধানীর বনানীতে ই-ক্যাব কার্যালয়ে ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টর কর্তৃক আয়োজিত আজ এক আলোচনা সভায় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যরা এসব কথা বলেন। 
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন, নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন, ব্যারিষ্টার মাহফুজুর রহমান মিলন প্রমুখ।
শরিফুল ইসলাম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টকে স্বাস্থের জন্য মারাতœক ক্ষতির পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি, ই-সিগারেটকে তামাক পণ্য ব্যবহারের গেটওয়ে হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। 
সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, তামাক কোম্পানি সবসময়ই বিভিন্ন কূট-কৌশল অবলম্বন করে দেশের জনম্বাস্থ্যকে ক্ষতির মুখে ফেলে। বর্তমানে তারা দেশে ই-সিগারেট আমদানি ও প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে এবং তরুণদের এই নেশায় আসক্ত হওয়ার মন্ত্রনা দিচ্ছে। ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। এ সংক্রান্ত আইন দ্রুত পাস করতে হবে। ‘ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়ার বিকল্প হতে পারে না। বরং এটি নতুন আরেকটি নেশায় আসক্ত হওয়া শুরুর জন্য দায়ী । ই-সিগারেট স্পষ্টভাবেই একটি ড্রাগ, যা দেশে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই ই-সিগারেট আমদানি বন্ধ করতে হবে’ বলেন ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন।
মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে তামাক কোম্পানিগুলো ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ই-সিগারেটের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে তামাক কোম্পানিগুলো। এছাড়াও যারা ধূমপান ছাড়তে চায় তাদেরকে প্রচলিত সিগারেটের বদলে ই-সিগারেট ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। ই-সিগারেটের  প্রসার বন্ধে এখনই কঠোর আইন প্রণয়ন ও  প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রী কিডস, বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, নতুন প্রজন্ম ই-সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ার আগেই এর প্রসার রুখতে হবে। এছাড়া, ই-সিগারেট কিভাবে আমদানি হচ্ছে তা নির্ণয় করে এখনই আমদানি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।  
ই-ক্যাবের সদস্য হুরায়রা শিশিরের উপস্থাপনায় সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখেলেসুর রহমান ও পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat