ব্রেকিং নিউজ :
ফেনীতে বন্দিদশা থেকে মুক্ত শতাধিক পাখি গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর মতবিনিময় টাঙ্গাইলে ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ নাটোরে বর্ণিল পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত বেরোবি’র মাধ্যমে আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার পরিচালনায় চুক্তি স্বাক্ষর আলেম-ওলামাদের মেহনত ব্যর্থ হয়নি : ধর্ম উপদেষ্টা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন খালেদা জিয়া পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে ২২ হাজার ৭০০ প্রবাসীর নিবন্ধন ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত নয়, সচেতন হবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের- প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার কৃষিতে ব্যবহৃত কীটনাশক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে হুমকি তৈরি করছে: মৎস্য উপদেষ্টা
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৫-২০
  • ৪৩৪৫৩৭৩০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের হামিদপুরে ইজিবাইক চালক মফিজুর হত্যা মামলায় আজ পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।
পাঁচ আসামির মধ্যে তিন আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান।
আসামিরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর বিশ্বাসপাড়ার মকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইখতিয়ার বিশ্বাস, মান্দারতলা গ্রামের বাসিন্দা ও মণিরামপুর উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের মৃত হাছিম সরদারের ছেলে খোরশেদ আলম, হামিদপুর দক্ষিনপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে কাজল।
দন্ডিত পলাতক আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার ধানঘাটা গ্রামের বলরাম ঘোষের ছেলে গোপাল ঘোষ,ও চাঁনপাড়া গ্রামের মফজেলের ছেলে এনামুল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২২ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মফিজুর রহমান তার হেলপার নয়নকে নিয়ে পুরাতন কেন্দ্রীয় বাস স্টান্ড (মনিহার মোড়) থেকে বাড়ির পথে ফিরছিলেন। পথে হামিদপুরে তার হেলপার নয়নকে নামিয়ে তিনি বাড়ির দিকে চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। দুইদিন পর ২৪ জুন সকালে হামিদপুর ময়লাখানার পাশের একটি পুকুর থেকে মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, মফিজুর ও তার হেলপার নয়ন যখন বাড়ি ফিরছিলেন ঠিক সেসময় একটি নম্বর থেকে মফিজুর রহমানের কাছে কল আসে। পরে মফিজুরকে নয়ন জিজ্ঞাসা করে কে ফোন করেছিলো। এসময় মফিজুর নয়নকে জানান- তাকে টাকা দেয়ার জন্য ইখতিয়ার কল করে ময়লাখানার সামনে ডেকেছে। এই বলে সুলতানা ফিলিং স্টেশনের সামনে ইজিবাইক থেকে নেমে যায় মফিজুর। নয়নকে ইজিবাইক নিয়ে চলে যেতে বলে। এ সময় নয়ন দেখতে পায় পাশের একটি মেহগনী বাগানের সামনে ৪/৫জন যুবক দাঁড়িয়ে ছিলো। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয় মফিজুর।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দিন এ হত্যাকান্ডের তদন্তের শুরুতেই ইখতিয়ার ও খোরশেদকে আটক করে। পরে তারা আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে উঠে আসে অপর তিন আসামিদের নাম। মুলত পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় মফিজুরকে। পরবর্তীতে লাশ ফেলে দেয়া হয় ঝুমঝুমপুর ময়লাখানার পেছনের একটি পুকুরে।
দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ মামলার রায় ঘোষণার দিনে বিচারক পাঁচ আসামিরই মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। এ রায়ে সরকার পক্ষে পিপি আসাদুজ্জামান সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে মন্তব্য করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat