ইসরাইলে প্রতিশোধমুলক হামলা চালাতে ইরান সামরিক বাজেট তিন গুণ বাড়িয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি তেহরানে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে এই খবর জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র সামরিক বাজেট ২শ’ শতাংশেরও বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বাড়তি বাজেট কোন খাতে ব্যয় হবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ‘ইরনা’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে তেহরান থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
সরকারি স্বীকার না করলে তেহরানের বার্ষিক সামরিক ব্যয়ের সঠিক পরিসংখ্যান বের করা অত্যন্ত কঠিন।
তবে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী
দেশটির সামরিক বাজেটের সর্বোচ্চ অংশ ইসলামি রেভ্যূলিউশনারী গার্ড (আইআরজিসি) পায়। নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর অন্যান্য শাখা গুলোর বরাদ্দ আইআরজিসির চেয়ে তুলনামুলক অনেক কম।
এদিকে ইসরাইলে প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমায়েল বাঘাই বলেছেন, ইসরাইলি হামলার জবাব দিতে সব ধরনের সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে।
তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজ দেশের এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত শনিবার ইরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তেহরান বলেছে, এতে তাদের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরাইলি বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার তেহরান ও ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে সমরাস্ত্র কারখানাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূণ স্থাপনায় তিন দফা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এই হামলার পর নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে দেশ দুটি’র নেতারা।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের শক্তি প্রদর্শনের মাত্রা ইরানি কর্মকর্তারাই নির্ধারণ করবেন। তবে শত্রুর হামলা নিয়ে অবহেলা বা অতিরঞ্জিত করা, কোনোটিই কাম্য হতে পারেনা।
মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই সশস্ত্র যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইরান ও ইসরাইল। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ হত্যার প্রতিবাদে ১ অক্টোবর ইসরাইলে ২শ’ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে ইরান।
এদিকে তেল আবিব দাবি করছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
ওই হামলার জবাবে গত শনিবার ইরানে বিমান হামলা চালায় তেল আবিব।