ব্রেকিং নিউজ :
টেলিকম ব্যবসায় শামীম ওসমান পরিবারের জালিয়াতি তদন্ত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ রংপুরে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রকাশনা ‘ছত্রিশ’ এর মোড়ক উন্মোচন মাগুরার সেই শিশুটির ভারসাম্যহীন বাবার পাশে তারেক রহমান ঈদের ছুটিতে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে সরকারের ১৬ নির্দেশনা জনগণ নির্বাচনমুখী হলে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে : খন্দকার মোশাররফ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি কাতারের পূর্ণ সমর্থন গত ষোল বছরের ছাত্ররাজনীতি সমাজকে কলুষিত করেছে, মেধা ধ্বংস করেছে: এ্যানি হারিয়ে যাওয়া উদ্ভিদ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : পরিবেশ উপদেষ্টা আগামী দিনে সামগ্রিক শুল্ক কাঠামো হ্রাস পেতে পারে: এনবিআর চেয়ারম্যান উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : অধ্যাপক ইউনূস
  • প্রকাশিত : ২০২৪-১১-২৮
  • ২৩৪৩৪৯৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ৬টি নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

আজ  বৃহস্পতিবার শিক্ষা  উপদেষ্টা  স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশনা জানানো হয়।

সম্প্রতি  দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের বিষয়ে কথা বলেন উপদেষ্টা।

চিঠিতে উপদেষ্টা বলেন,দেশের বিভিন্ন স্থানে নানাবিধ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি এবং কিছু ক্ষেত্রে মব জাস্টিসের মতো অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে, একদিকে যেমন শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, অপরদিকে শিক্ষার পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার মান অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য।

শিক্ষা উপদেষ্টার দেওয়া ৬টি নির্দেশনা হলো-

১. শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও আলোচনার আয়োজন। এর পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম, যেমন- বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধূলা প্রতিযোগিতা ইত্যাদির ব্যবস্থা গ্রহণ শিক্ষার্থীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উৎসাহ প্রদান, রাজনৈতিক ইস্যুতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরী থেকে তাদেরকে বিরত রাখা এবং মব জাস্টিসের মতো কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ও পরিণতি সম্পর্কে অবহিতকরণ।

২. ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন। ক্যাম্পাসের প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টগুলোতে কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা চালুকরণ।

৩.  সংঘর্ষ এড়াতে সকল পক্ষের সঙ্গে সময়োপযোগী আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। সহিংসতা বা আইনবিরুদ্ধ আচরণের ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রাখা।

৪. অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ গ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কমিটিতে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত প্রদান

৫. শিক্ষার পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। ক্লাস পুন:নির্ধারণের মতো কার্যকর পন্থা প্রয়োগ।

৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি এবং তা প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিতে প্রেরণ। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর অগ্রগতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat