‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণ ও পুনর্নিমাণ’ প্রকল্পের নথি গায়েব করে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
আজ দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযান পরিচালনাকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, প্রকল্পটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হলেও তা বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল এলজিইডি। এলজিইডি থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকল্পের রেকর্ডপত্রের সঠিকতা যাচাই করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়া বাগেরহাট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণ ভাতা ও বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের বাগেরহাট জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদক টিম সরেজমিন বাগেরহাট যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর পরিদর্শন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষণার্থীদের তালিকা ও বাজেটের বরাদ্দপত্রসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী এবং রিসোর্স পার্সনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, তাদেরকে বাজেটের থেকে কম ভাতা/সম্মানী প্রদান করা হয়েছে।
অভিযানকালে যানবাহনের তেল খরচ বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিকভাবে পাওয়া যায়নি। লগ বই বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৩০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য ১৫ লিটার তেলের ব্যবহার করা হয়েছে- যা যথার্থ নয় বলে প্রতীয়মান হয়। সার্বিক বিবেচনায়, ভুয়া বিল ও ভাউচার তৈরি করে প্রশিক্ষণের টাকা আত্মসাতসহ অন্যান্য অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে প্রাথমিক যাচাইয়ে প্রতীয়মান হয়েছে।