ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গ্রুপ পর্ব শেষে এখন সুপার রাউন্ডের অপেক্ষা
স্পোর্টস ডেস্ক:- ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গ্রুপ পর্ব শেষে এখন সুপার রাউন্ডের অপেক্ষা। শুরুর অংশে ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠেছিলেন ক্রিকেটাররা। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। তবে সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে চমক হয়ে এসেছে রবিউল ইসলাম রবির নামটি।
সেরা পাঁচের বাকি তিনটি নাম নাঈম ইসলাম, জুনায়েদ সিদ্দিকী ও এনামুল হক বিজয়। লিগে এখন পর্যন্ত চারশর বেশি রান তুলেছেন ১৫ জন। সেঞ্চুরি হয়েছে ২৭টি। লিটন, নাঈম, জুনায়েদ, রবি, শান্ত দুটি শতক হাঁকিয়েছেন। অপার সম্ভাবনাময় তরুণ লিটন রানেই ছিলেন। মাঝে জাতীয় দলে আসা-যাওয়া মিলিয়ে খানিকটা হয়তো চাপে মুড়ে গিয়েছিল ২২ গজের চেনা পরিবেশটা। ছন্দে ফিরে ১০ ইনিংসের ৩ ফিফটি ও ২ সেঞ্চুরিতে ৫৭.৮০ গড়ে ৫৭৮ রান করেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। আবাহনীর হয়ে খেলা এই তরুণের ১০৮.০৩ স্ট্রাইকরেটে সর্বোচ্চ ইনিংসটি ১৩৬ রানের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাঈম লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলছেন। ১০ ম্যাচ খেলে ২টি করে ফিফটি-সেঞ্চুরি করার পথে ৬৫.৮৭ গড়ে করেছেন ৫২৭ রান। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ১২৩ রানের। স্ট্রাইকরেট ৮৩.৫১। ব্রাদার্স ইউনিয়নের জুনায়েদও ২টি করে শতক-অর্ধশতকে ৪৯.০০ গড়ে করেছেন ৪৯০ রান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১১৪ রানের ইনিংস খেলে সংগ্রাহকের তালিকায় তিনে আছেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এনামুল খেলছেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সে। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ১১ ম্যাচে ৪২.০৯ গড়ে ৪৬৩ রান করেছেন। সর্বোচ্চ সংগ্রাহকের চারে থাকার সময়ে স্ট্রাইকরেট ৯২.২৩। তবে শতকের দেখা পাননি। অর্ধশতক ৫টি।
পাঁচে থাকা রবি নামটাই এসেছে চমক হয়ে। টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ১১ ম্যাচে ৪১.৫৪ গড়ে ৪৫৭ রান খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান-অলরাউন্ডারের। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ১০৭ রানের। তালিকার ছয়ে আছেন মোহামেডানের রকিবুল হাসান। একটি করে ফিফটি-সেঞ্চুরিতে করেছেন ৪৪৪ রান। আবাহনীর বিপক্ষে ১৯০ রানের ইনিংসে বাংলাদেশের মাটিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন এবারই। চলতি লিগে চারশর বেশি রান করাদের মধ্যে অন্য নামগুলো- মুমিনুল হক, প্রশান্ত চোপড়া, অমিত মজুমদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, মার্শাল আইয়ুব, ফজলে মাহমুদ, আব্দুল মজিদ, ইমতিয়াজ হোসেন ও ইরফান শুক্কুর। আর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যাওয়ার আগে তামিম ইকবাল ২ ম্যাচে ২০৩ রান করে গেছেন। সেখানে ৪ ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের রান ২৭৯, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২৪৭, নাসির হোসেনের ২২৬।