ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০১৭-০৬-০৩
  • ৫০১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ ৩ জুন, ভয়াবহ নিমতলী ট্র্যাজেডির সাত বছর
নিজস্ব প্রতিনিধি: – আজ ৩ জুন, ভয়াবহ নিমতলী ট্র্যাজেডির সাত বছর। ২০১০ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার নিমতলী এলাকার একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে আগুনে পুড়ে মারা যান ১২৪ জন। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছিলেন আরও দুই শতাধিক। মূলত ঘটনাস্থলে বিভিন্ন গুদামে রক্ষিত মারাত্মক দাহ্য রাসায়নিক পদার্থের কারণেই ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটে। দুঃসহ সেই কষ্টের স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছে স্বজনহারা পরিবারগুলো। সেই ঘটনার আতঙ্ক এখনো কাটেনি পুরান ঢাকাবাসীর মন থেকে।কেননা, নিমতলী দুর্ঘটনার পর পুরান ঢাকা এলাকা থেকে সব ধরনের রাসায়নিক উপাদানের গুদাম ও দোকান-পাট সরানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। সাত বছরেও সরেনি অনেক গুদাম।জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ৪০০ অবৈধ গুদামের তালিকা করেছিল ফায়ার সার্ভিস। তালিকা ধরে উচ্ছেদ অভিযান হয়নি আজও। ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক গুদাম না সরানোয় ক্ষোভ বিরাজ করছে পুরান ঢাকার সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে।এদিকে নিমতলী ট্র্যাজেডি সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নবাব কাটরার নিমতলীর ৪৩ নম্বর বাড়িতে রাত ৯টার দিকে কেমিক্যালের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ছয়তলা বাড়িটির নিচতলায় দুই বোন রুনা আর রত্মা এবং পাশের বাড়িতে আসমা নামে এক মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনেরা পার্লারে সাজছিল।আর বাড়ির নিচতলায় রান্না চলছিল। রান্নার জায়গার পাশেই ছিল কেমিক্যালের গুদাম। প্রচণ্ড তাপে গুদামে থাকা কেমিক্যালের প্লাস্টিক ড্রাম গলে যায়। এরপর মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে দরজা জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। রাসায়নিক তপ্ত লাভার মতো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।অল্প সময়েই পুরো এলাকাটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরিতে রূপ নেয়। ঘটনাস্থলে নিচতলায় থাকা একই পরিবারের এগারোজনের মৃত্যু হয়। আর সামনের ৫৫ নম্বর বাড়ির ৬ জন এবং বিয়ের বাড়ি লাগোয়া বাড়ির আরো ছয়জনের তাত্ক্ষণিক মৃত্যু হয়। বিয়ের সাজের জন্য পার্লারে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তিন কন্যা। পরে তিন কন্যাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতৃস্নেহে গণভবনে নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেন। তিন মেয়ের স্বামীদের চাকরিও দেন তিনি।শনিবার নিমতলীর মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া, মিলাদ মাহফিল, দুঃখীদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে।নিমতলী ট্রাজেডি স্মরণে নির্মিত ‘ছায়া স্মৃতিস্তম্ভে’ হতাহতদের পরিবার, স্থানীয় সংসদ সদস্য, মেয়র, ওয়ার্ড কমিশনার ও কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের তরফ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat