দিনাজপুরে ইয়াবাসহ পরিবহন শ্রমিক নেতা আটক, মহাসড়ক অবরোধ, দিনাজপুরে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

আবু বকর সিদ্দিক, দিনাজপুর প্রতিনিধি :-
দিনাজপুরে র্যাব অভিযান চালিয়ে উদয় চক্রবর্তী নামে একজন পরিবহন নেতাকে ৯৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করেছে। এই ঘটনার জেরে ৭ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করেছে শ্রমিকরা। একইসাথে তারা চলাচল করতে দেয়নি জেলার কোন যাত্রীবাহী বাস।
র্যাব-১৩ দিনাজপুর সিপিসি ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, সোমবার রাত ১২ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের সিনিয়র এএসপি মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে র্যাবের সদস্যরা অভিযান চালায়। অভিযানকালে সদর উপজেলার মির্জাপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ঠাকুরগাঁও বাস কাউন্টারের সামনে থেকে ৯৭ পিস ইয়াবাসহ উদয় চক্রবর্তী (৪৫) নামে একজন পরিবহন নেতাকে আটক করা হয়। আটক উদয় চক্রবর্তী সদর উপজেলা শহরের সুইহারী এলাকার মৃত: পরিমল চক্রবর্তীর ছেলে ও জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগসহ উদয় চক্রবর্তীকে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করা হয়।
এদিকে এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার ভোর ৫ টা থেকে কেন্দ্রীয় বাসষ্ট্যান্ডের সামনে দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা। একইসাথে শ্রমিকরা জেলা শহরের সব প্রকার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা আটক উদয় চক্রবর্তীতে অবিলম্বে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানায়। পরে ঘটনাস্থলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুর ১২ টার দিকে অবরোধস্থানে পুলিশ এসে কোন প্রকার অন্যায়ভাবে তাকে মুক্ত করা হবে না এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে পরিবহন শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়। কিন্তু বাস চলাচল শুরু না করার ঘোষণা দেয়। তবে বাইরের যানবাহনগুলোর চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
দিনাজপুরে ইফতার সামগ্রী বিতরণ
আবু বকর সিদ্দিক, দিনাজপুর প্রতিনিধি :-
দিনাজপুরে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে জেলা লেডিস কাব ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থা।
মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় ষ্টেশন কাব চত্বরে অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা লেডিস কাব ও মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী শামীমা আক্তার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির মাতা নাজমা রহিম, লেডিস কাবের সাধারণ সম্পাদিকা শারমিন আক্তার এবং মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা জিনাত আরা চৌধুরী মিলি। এর আগে মহিলা নেতৃবৃন্দ শহরের রাজবাটীস্থ বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসকারী বৃদ্ধদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
পুত্রের হত্যার বিচার দাবী করে পিতার সংবাদ সম্মেলন
আবু বকর সিদ্দিক, দিনাজপুর প্রতিনিধি :-
পুত্রের হত্যার বিচার দাবী করে পিতা আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মোকছেদ আলী সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে হত্যাকারী যাতে বেরিয়ে যেতে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় দিনাজপুর প্রেসকাব মিলনায়তনে লিখিত অভিযোগে বলেন, এলাকায় আমার স্বনামধন্য পুত্র বাবুল হোসেনকে ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ১৫-৫-২০১৭ ইং তারিখে আমার পুত্র বাবুল হোসেন এলাকার মোকসেদ আলী দোকানের কর্মচারী রোহিদুল এর মোটর সাইকেলের পিছনে বসে কাহারোল থানায় ব্যবসায়ীক পাওনা টাকা উঠাতে যায়। টাকা না পেয়ে দিনাজপুর হয়ে রাত ১২টা দিকে ১৩ মাইলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে নশিপুর জামতলীতে চা পান করার জন্য নামে। এ সময় রহিদুল চায়ের সাথে কিছুএকটা মিশিয়ে দিলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় রহিদুলের মোটর সাইকেলে পিছনে বসে বাড়ীর দিকে রওয়ানা দিলে সে লক্ষ্য করে যে তাদের পিছনে ২টি মোটরসাইকেল তাদের অনুসরন করছে। কিছুক্ষণ পর বাবুল একটি বিকাট শব্দ শুনতে পায় তার পর সে কিছু বলতে পারে না। এলাকার লোকজন বাবুলকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে এবং আমাদের খবর দেয়। আমরা ছুটে এলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ভর্তি থাকা সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ মে ভোর ৪টায় মারা যায়। হাসপাতালে জ্ঞান থাকা অবস্থায় তার স্ত্রীকে সেদিনকার ঘটনার কথা জানিয়েছিল। রহিদুল ঐ দিন বাবুলকে ফেলে রেখে মোটর সাইকেল নিয়ে চলে আসে এবং এলাকায় প্রচার করে যে, বাবুল সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। আমরা প্রথমে তার কথা বিশ্বাস করে ঢাকা থেকে লাশ এনে দাফন করে ফেলি। পরে বাবুলের স্ত্রীর নিকট প্রকৃত বিষয়টি জানতে পেরে আদালতে মামলা দায়ের করি এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করি। আদালত তদন্তের জন্য মামলাটি কোতয়ালী থানায় প্রেরণ করে। এ সংবাদ হত্যাকারীরা জানতে পেরে লোক মারফত ও বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হুমকি দিয়ে জানায় যে, আমরা বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে বাবুলের লাশ নষ্ট করে ও কবর থেকে গায়েব করে দেব। সেই ভয়ে সেদিন থেকে আমরা প্রতি রাতে কবর পাহাড়া দিয়ে আসছি। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন আমার বিশ্বাস বাবুলের লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করলে প্রমাণ পাওয়া যাবে যে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সহ তার স্ত্রী জাহানারা বেগম, বাবুলের প্রথম স্ত্রী কুলসুম আক্তার ও দ্বিতীয় স্ত্রী জেসমিন আক্তার, প্রথম স্ত্রীর ছেলে আশরাফুল (১২) ও কন্যা সানজিদা আক্তার (৭) বলেন, বাবুলের হত্যাকারী আসামীরা কোনভাবে যাতে আইনের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে যেতে না পারে। আমি বাবুলের হত্যার বিচার প্রার্থনা করছি।