নিজস্ব প্রতিনিধি:- নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আইনের কারণে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। ভোক্তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ভোগাবে নতুন ভ্যাট। আবার ভ্যাট প্রশাসনের পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও নেই। নতুন ভ্যাটে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর বাড়তি খরচের চাপ বাড়বে। ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসবে বিদ্যুৎ বিল, দেশি ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক, আসবাব, রডসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যে।
অন্যদিকে ভ্যাট হারসহ হিসাবনিকাশ পদ্ধতি নিয়ে ব্যবসায়ীদেরও আপত্তি আছে। তাঁদের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি পণ্য কেনার হিসাবও ভ্যাট রিটার্নে দেখাতে হবে। অনলাইন ভ্যাট নিবন্ধনেও উৎসাহ নেই তাঁদের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসায়ীদের কেনা দামে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার (ইসিআর) মেশিন দেওয়ার কথা আছে। আইনটি বাস্তবায়নের দুই সপ্তাহের কিছু বেশি সময় বাকি আছে; এখনো ইসিআর মেশিন দেওয়া শুরু হয়নি।২০১৭-১৮ অর্থবছরের নতুন বাজেটের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হচ্ছে নতুন ভ্যাট আইনের বাস্তবায়ন। বাজেটের আগে থেকেই এ নিয়ে ছিল ব্যাপক আলোচনা। কিন্তু বাজেট পেশের পর ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর খবরই সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। এখনো বেশি আলোচনা হচ্ছে এ নিয়েই। অথচ এনবিআর কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদ পর্যন্ত সবারই মতামত হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে নতুন ভ্যাট আইন। ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়াবে এই আইন।