
নিজস্ব প্রতিনিধি:-
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। বিক্রি শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা পর টিকিট শেষ বলে অপেক্ষমাণ লোকজনদের জানান স্টেশন কাউন্টারের কর্মচারীরা। তখনই টিকিটপ্রত্যাশীদের মধ্যে শুরু হয় হইচই ও হট্টগোল।
দেওয়ানগঞ্জে তিস্তা ট্রেনের জন্য ২১ নম্বর সিরিয়ালের অপেক্ষায় থাকা এক টিকিটপ্রত্যাশী এসির চারটি টিকিট চেয়ে পাননি। তাঁকে দুটি এসির টিকিট ও সঙ্গে দুটি শোভন চেয়ার টিকিট দেওয়া হয়। অথচ তিনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে ট্রেনে যেতে চেয়েছিলেন।
চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়ার এ চিত্র অবশ্য স্টেশনের সব কাউন্টারে ছিল না। দীর্ঘ অপেক্ষার পর টিকিট পেয়ে অনেকেরই চোখেমুখে ছিল একগাল হাসি আর উচ্ছ্বাস।
প্রায় ১৭ ঘণ্টা দাঁড়ানোর পর চাহিদামতো সোনার বাংলা ট্রেনের এসি কোচের টিকিট পেয়েছেন বিমা প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা মো. সোহেল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিবছরই ভালো টিকিট পাওয়ার জন্য কষ্ট করা হয়। অফিস থেকে বলে সময় নিয়ে এসেছি। এত কষ্টের পর টিকিটটা পেয়ে কষ্টটা বেমালুম ভুলে গেছি। সবাই মিলে বাড়ি যাওয়ার আনন্দ তো এখান থেকেই শুরু।’
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে আজ বৃহস্পতিবার চলছে ঈদের অগ্রিম বিক্রির চতুর্থ দিন। স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের বেশির ভাগই এসেছেন ভোরে সাহরির পর। তবে সারির প্রথম দিকের কেউ কেউ গতকাল বুধবার থেকে আছেন বলে জানান।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত সোমবার থেকে আন্তনগর ও স্পেশাল ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য পাঁচ দিনের কর্মসূচি শুরু করে। আগামীকাল ৬ জুন পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।