নিজস্ব প্রতিনিধি:- বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বহমান যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি তিন সেন্টিমিটার কমেছে। এতে বন্যার আশঙ্কা না থাকায় নদী পাড়ের মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ১৬.৬২ সেন্টিমিটার এবং বাঙালি নদীর পানি ১৪.৬৬ সেন্টিমিটার সমতায় প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীতে পানির বিপদসীমা ১৬.৭০ সেন্টিমিটার এবং বাঙালি নদীতে পানির বিপদসীমা ১৫.৮৫ সেন্টিমিটার। সেই হিসেবে যমুনা নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টা ধরে দুই নদীর কমতে শুরু করেছে। নদী পাড়ের মানুষের দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা টহল জোরদার করেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) সহকারি প্রকৌশলী হারনর রশিদ বলেন, ধুনট উপজেলায় যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আপাতত পানি বৃদ্ধি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। তারপরও প্রতিদিন বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে।