নিজস্ব প্রতিনিধি:-খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শান্তি জীবন চাকমা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে প্রথমে গুলি পরে গলকেটে হত্যা করা হয়েছে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এমএন লারমা গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন যুব সমিতির সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে । রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার তাইন্দংয়ের সর্বস্বের পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। শান্তির বাবার নাম রাঙ্গাচোখা চাকমা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রবিবার ভোরে শান্তির বাড়িতে হানা দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে শান্তি প্রাণে বাঁচাতে ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় অস্ত্রধারীরা তার ওপর গুলি চালায়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা গলাকেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে জামিনিপাড়া ব্যাটালিয়নের বিজিবি ও তবলছড়ি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করেছে জেএসএস (এমএন লারমা)।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা অভিযোগ করেন, ইউপিডিএফের (প্রসীত) সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সংগঠক মাইকেল চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি সৈয়দ মো. জাকির হোসেন পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঠানো হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের গুলিতে জ্ঞানেন্দু চাকমা (৪০) নামে এক ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হন। এছাড়া শুক্রবার খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ইউপিডিএফ সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনির উপর সন্ত্রীসারা হামলা করে। উভয়ই ঘটনার জন্য জেএসএসকে (এমএন লারমা) দায়ী করেছে ইউপিডিএফ ।