ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৯-০৩
  • ৩৮৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নবজাতককে হাসপাতালে রেখে উধাও বাবা-মা

 নিউজ ডেস্ক:- কুমিল্লার মা ও শিশু বিশেষায়িত হাসপাতালের এক নবজাতককে নিয়ে বেশ বিপদেই পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কারণ শিশুটি হাসপাতালের বেডে থাকলেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা তার বাবা-মাকে।হাসপাতালের পরিচালক বদিউল আলম  বলেন, "গত ১৮ই অগাস্ট হাসপাতালে এসেছিলেন শাহ আলম ও রোকেয়া বেগম দম্পতি। সেখানে রোকেয়া বেগমের ছেলে সন্তান হয়। পরে ২৪শে অগাস্ট বিকেল বেলা থেকে এই দুজনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চাটি এখন আমাদের কাছে আছে এবং ভালোই আছে। পুলিশও শিশুটির অভিভাবকদের সন্ধান করছে"।এ বিষয়ে হাসপাতালের তরফ থেকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানোর পর ঘটনাটি তদন্ত করছেন এস আই ফারুক আহমেদ।এস আই আহমেদ  জানান, তিনি শাহ আলমের গ্রামের সন্ধান করে এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।"আমি ওই এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করেছি। শাহ আলমের ভাইয়ের সাথেও কথা হয়েছে। চেয়ারম্যান শিশুটিকে নেয়ার ব্যবস্থা করতে সহায়তা করবেন জানিয়েছেন"। এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শাহ আলমের ভাই জানিয়েছেন যে শিশুটি খুবই অসুস্থ থাকায় হয়তো সে বাঁচবে না ভেবেই হয়তো তার ভাই সস্ত্রীক হাসপাতাল থেকে চলে এসেছেন।শাহ আলমের ভাই মোহাম্মদ মানিক বলেন, শাহ আলম আলাদা থাকতেন এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ তেমন ছিল না।"আমরা এখনো তার সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। খোঁজই পাচ্ছি না তাদের। চেষ্টা করছি যোগাযোগ করার। বাচ্চাকে হাসপাতাল থেকে আনার জন্য এলাকার চেয়ারম্যানও চেষ্টা করবেন বলেছেন। দেখি কী হয়"।শিশুটির পরিবার বা স্বজনদের কাউকে না পেয়ে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শিশুটির দেখভাল করছে হাসপাতালেরই লোকজন।হাসপাতালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জন্মের সময় শিশুটির ওজন ছিলো প্রায় সাতশো গ্রাম।নির্ধারিত সময়ের বেশ আগে গর্ভধারণের সাত মাসের মাথায় শিশুটির জন্ম দেন রোকেয়া বেগম।অবস্থা জটিল দেখে ওইদিনই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।এর আগে রোকেয়া বেগমের দুটি সন্তান হয়েছিলো কিন্তু একটিও বাঁচেনি।হাসপাতালের পরিচালক বদিউল আলম বলছেন, "তাদের আগের দুটি শিশুও নির্ধারিত সময়ে আগে একটি সাত মাসের, আরেকটি নয় মাসে জন্ম নিয়েছিলো। এবারের শিশুটিও সাত মাসে জন্ম নিয়েছে। আগের দুটি না বাঁচায় হয়তো এবার একই অবস্থা হবে বলে তারা ধারণা করেছিলো"।এদিকে হাসপাতালের শিশুটির চিকিৎসার ব্যয় দাঁড়িয়েছে এক লাখ টাকারও বেশি। এ বিষয়েও শাহ আলমের এলাকার চেয়ারম্যান একটি উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ভাই।যদিও বদিউল আলম বলছেন, "শিশুটি এখন ভালো আছে। আমরা তাকে তার স্বজনদের হাতে তুলে দিতে চাই"। সুত্র:- বিবিসি বাংলা

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat