- প্রকাশিত : ২০১৮-০৯-০৭
- ৪৩৬ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে রাষ্ট্রপতির ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতি ও প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে কোনো জাতির উন্নয়নে সাক্ষরতার বিকল্প নেই। শিক্ষা জ্ঞান অর্জনের মূল ভিত্তি, আর সাক্ষরজ্ঞান এর প্রাথমিক সোপান। সাক্ষরতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের দ্বার উন্মুক্ত হয়, যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে। তাই সাক্ষরতা অর্জন দেশের মানব সম্পদ তৈরির প্রথম ধাপ। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ÔLiteracy and Skills DevelopmentÕ এবং স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ যা অত্যন্ত যুগোপযোগী এবং এ আয়োজনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে আমি মনে করি।বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষা, সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে রূপকল্প ২০২১, গ্লোবাল SDGs ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সে লক্ষ্যে সরকার বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, শিক্ষক উন্নয়ন, বিদ্যালয়ের অবকাঠারমা উন্নয়ন, শতভাগ উপবৃত্তি কার্যক্রম, স্কুল ফিডিংসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশু-কিশোরদের বিশেষ ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা প্রদান, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে আলোকিত ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন ২০১৪। শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে সাক্ষরতা কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, এনজিওসমূহ জোরালো ভ‚মিকা পালন করবে এ প্রত্যাশা করি।
আমি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।
এবারের প্রতিপাদ্য ÔLiteracy and Skills DevelopmentÕ’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে বাংলাদেশে এ বছরের মূল স্লোগান ‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী।দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান প্রদানের লক্ষ্যে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)’ বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে দেশের ১৫-৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লক্ষ নিরক্ষর নারী-পুরুষ সাক্ষরতা অর্জন করবে। এর পাশাপাশি, বিদ্যালয় হতে ঝরেপড়া ও নব্য সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন মানুষদের বিভিন্ন বৃত্তিমূলক দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সংযোগ করার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টায় বিগত এক দশকে সাক্ষরতার হার ২৮.১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭২.৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।বর্তমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি-৪) মানসম্মত ও সর্বজনীন শিক্ষা নিশ্চিত করা এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা প্রসারের অঙ্গীকার ব্যক্ত হয়েছে, যা বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণপূর্বক ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমাদের সরকারের গৃহীত সাক্ষরতা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংক্রান্ত উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।আসুন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে এ দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং নিরক্ষরতামুক্ত সোনার বাংলাদেশে পরিণত করি।
আমি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৮ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..