যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের পরিবর্তে ব্যালটে ফেরার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
আন্তর্জতিক ডেস্ক:-যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপারে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা এই পরামর্শ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ‘নিরাপদ ভোট : আমেরিকার গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’ শিরোনামে ১৫৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ভোট গ্রহণের যন্ত্রগুলো প্রায় এক যুগ আগের এবং সেগুলোতে ব্যবহূত সফটওয়্যার অরক্ষিত হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছে। তাছাড়া এসব মেশিন পরিচালনাকারীদের সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও অপ্রতুল। ইভিএম বাদ দিয়ে পুরাতন কাগজের ব্যালটে খরচ কেমন হতে পারে সেই ধারণা প্রতিবেদনে দেয়া হয়নি। তবে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিনান সেন্টার বলছে, কয়েক বছরের মধ্যে ইভিএম পরিবর্তন করতে হবে যাতে ১০০ কোটি ডলার খরচ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা রিপোর্টে বলেছেন, ইন্টারনেট প্রযুক্তি ভোটের জন্য নিরাপদ কিংবা বিশ্বাসযোগ্য নয়, যেখানে ব্যালট পেপার নিরাপদ এবং বিশ্বাসযোগ্য। কারণ এগুলো হাতে গণনা করা যায়। বিশেষজ্ঞরা নির্বাচনী পদ্ধতির সততা নিশ্চিত করতে সংস্কার করার আহবান জানিয়েছেন। ইভিএমে প্রযুক্তির ব্যবহার থাকার কারণে আন্তর্জাতিকভাবে হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকতে পারে। প্রতিবেদনে ২০২০ সালের মধ্যে ফেডারেল, অঙ্গরাজ্য এবং স্থানীয় নির্বাচনে ব্যালট পেপারের ব্যবহার করার প্রস্তাব দেয়া হয়।প্যানেল সহকারী ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট লি বোলিঙ্গার বলেন, ভবিষ্যতের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বিদেশিদের হস্তক্ষেপ হুমকি তৈরি করতে পারে। তাই গুরুত্বসহকারে আমাদেরকে ভোট গ্রহণ এবং গণনার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। সকল ক্ষেত্রে নির্বাচনকে নিরাপত্তার মধ্যে আনতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। রাশিয়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি। এরপর থেকেই ব্যালটে ফেরার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। -নিউ ইয়র্ক টাইমস