ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৯-২২
  • ৩৪৭ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
একটি নতুন গণতান্ত্রিক সরকার নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যর সমাবেশের ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিনিধি:-আগামী ১ অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগকে সরিয়ে নতুন সরকার গঠনে সারা দেশে সভা সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ড. কামাল হোসেন এর আহ্বানে গঠিত বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে যোগ দিয়েছে বিএনপি এবং দলটির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ। শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বৈরাচারী, গণবিরোধী এবং লুটেরা আখ্যা দিয়ে জনগণের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক সরকার নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের এ অঙ্গীকার করেছেন। তারা বলছে, শিগগিরই ওই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিটি গঠন করা হবে এবং দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠবে। সমাবেশের ঘোষণাপত্রে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলা হয়, ন্যায় বিচারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে অগ্রাহ্য, ব্যাহত ও অকার্যকর করে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আইনগত ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, আজ বাংলাদেশে উন্নয়নের নামে অবাধ লুটপাট চলছে৷ ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। বিরোধীদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। জীবনের নিরাপত্তা নেই। এমতাবস্থায় সংবিধান অনুযায়ী জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। আজ যে ঐক্য হয়েছে এবং মানুষের সমাবেশ ঘটেছে। তাতে করে প্রমাণিত হয়েছে দেশের মানুষ জেগেছে৷ নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথি যুক্তফ্রন্টের এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা দেশ চাই। মুক্ত গণতন্ত্র চাই। এই সরকারের পতন চাই এবং বেগম খালেদা জিয়া সহ সকলের মুক্তি চাই। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা সভা করবো৷ আমরা আপনার অনুমতির তোয়াক্কা করি না। আমরা জনগণ নিয়ে সভা করবো। আপনারা কিচ্ছুই করতে পারবেন না। ক্ষমতা দেখাচ্ছেন? দেশের মানুষ আপনাকে ক্ষমতা দেখানোর জন্য ভোট দেয় না৷ আগামী নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে। আমরা ইভিএম ছুড়ে ফেলে দেব। যদি বুকে সাহস থাকে নির্বাচনের সময় সিসি ক্যামেরা লাগান। সাহস আছে? সমাবেশের প্রধান বক্তা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার পথে আমরা রীতিমত একধাপ এগিয়েছি। স্বৈরাচারী সরকারকে সরাতে হলে জনগণের ঐক্যের বিকল্প নেই। আসুন আমরা ন্যূনতম ঐক্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম কর্মসূচির পথে এগিয়ে যাই। কারাগার থেকে (বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া) খবর পাঠিয়েছেন যেকোনো মূল্যে এই সরকারকে হটিয়ে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আজকে এই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সূচনা হলো স্বৈরাচারী, ফ‍্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে। আসুন, দলমত নির্বিশেষে যে যেখানে আছি ঐক‍্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য নতুন মাইলফলক। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে নতুন যাত্রা। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা আছি এবং থাকবো। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ঘোষণাপত্রে নাগরিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যুক্তফ্রন্টের ৫ দফা দাবি ও ৯ দফা লক্ষ্যের সঙ্গে তারা একাত্মতা প্রকাশ করছেন। সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলন এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সেখানে যুক্তফ্রন্টের শরিক তিন দল জাসদের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, গণ সংহতি আন্দোলনের জুনাইদ সাকি। বিএনপির পক্ষে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ডা. জাফরুল্লাহ এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মঈনুল হোসেন সমাবেশে যোগ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat