- প্রকাশিত : ২০১৮-১১-২৬
- ৩৮২ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ২৭ নভেম্বর। শহিদ ডাঃ মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে পুরোভাগে থাকা শহিদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন পুলিশের গুলিতে শাহাদাতবরণ করেন। আমি শহিদ
ডাঃ মিলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডাঃ মিলন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের উত্থান ঘটে। শহিদ ডাঃ মিলনের মতো আরো অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষ এসব বীর শহিদদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকেও বেগবান করতে হবে। নতুন প্রজন্ম ডাঃ মিলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করবে - এ প্রত্যাশা করি।
আমি শহিদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
ডা. শামসুল আলম খান মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তৎকালীন যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক
ডা. মিলন ১৯৯০ সালের ২৭-এ নভেম্বর ঘাতকদের গুলিতে শহিদ হন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোট ও ভাতের অধিকার। আমি ’৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
আমি ডা. শামসুল আলম খান মিলন-এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..