ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০১৮-১১-২৭
  • ৫৪৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
ড. কামাল ও সুশীল সমাজের কিছু সদস্য সাজাপ্রাপ্তদের নেতৃত্বের অধীনে চলে গেছেন : প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:–প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. কামাল হোসেন এবং সুশীল সমাজের কিছু সদস্যের বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলানোর কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, তারা সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নেতৃত্বের অধীনে চলে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ড. কামাল হোসেন সাহেব সহ যে সুশীল বাবুরা এক জায়গায় হয়ে গেছেন সবাই অনেক নীতির কথা বলে, তাদের সেই নীতি কোথায় গেল? কার অধীনে আজকে তারা মনোনয়ন নিচ্ছেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এক সময় আইনকেই মানেনি তাদের কাছ থেকে মনোনয়ন নিয়ে তারা নাকি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। তারা জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাস দূর করবেন এবং দেশকে নাকি উন্নত করে দেবেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে সশস্ত্র বাহিনীর দেড় শতাধিক সাবেক কর্মকর্তার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নৌকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের লক্ষ্যে দেড় শতাধিক সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল ওয়াদুদ, রিয়ার এডমিরাল (অব.) হারুনুর রশীদ, এয়ার কমোডর (অব.) কাজী দেলোয়ার হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অব.) ডা. কানিজ ফাতেমা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন। আওয়ামী লীগের প্রেসডিয়াম সদস্য মুহম্মদ ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বি এম মোজাম্মেল হক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাগণ ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এর মধ্যে ১০৯ জন সেনাবাহিনীর, ১৯ জন নৌ-বাহিনী এবং ১৮ জন বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাকে দুর্নীতিবাজ বলে বক্তৃতা দিয়েছে, তাঁরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, আজকে সব ভিড়েছে গিয়ে কোথায়? গণতন্ত্র রক্ষা করতে, গণতন্ত্রের অভাব কোথায়? এই বিএনপি’র আমলেই দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। যে দলের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় আছে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে তারা দলের সদস্যও হতে পারবে না। কাজেই যারা দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, এতিমের অর্থ আত্মস্যাৎকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের জন্য সাজাপ্রাপ্ত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত সেই সাজাপ্রাপ্ত মানুষের নেতৃত্বে চলে গেছেন আমাদের এই সুশীল বাবুরা, গণতন্ত্র উদ্ধার করতে, এটা বাংলাদেশের এক দুর্ভাগ্য। তিনি এ সময় গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কি প্রশ্ন তুলে বলেন, তারা কোন গণতন্ত্র দিতে চায়, তাঁর সংজ্ঞাটি কি? এটা নিশ্চই জনগণের গণতন্ত্র নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকারী তাদের পুরস্কৃত করা, সামরিক শাসন জারি করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে নির্বাচনকে পর্যন্ত কলুষিত করেছিল, দেশের হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারকে যারা হত্যা করেছিল, একের পর এক ক্যু নিজেই সৃষ্টি করে যারা হত্যাযজ্ঞ চালায়, বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধী, ৭ খুনের আসামীদের যারা ছেড়ে দিয়ে যারা তাদের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছে তাদের সাথে হাত মিলিয়ে কোন গণতন্ত্র তারা আনতে চায়, সেটা একটা প্রশ্ন আমার তাদের কাছে। খালেদা জিয়ার এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলা তাঁর সরকার করেনি বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তাঁর নিযুক্ত সেনা প্রধান মইনউদ্দিন, সাবেক রাষ্ট্রতি ইয়াজউদ্দিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ফখরুদ্দিন গং মামলা দিয়েছিল এবং ১০ বছর আদালতে মামলা চললেও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, তাঁর সরকার কোন রাজনৈতিক মামলা করেনি। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে এনার্জি লস করার চাইতে তিনি বরং দেশের উন্নয়নে নজর দিয়েছিলেন। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কথা বলতে চেয়েছিল এবং তারা যতবার চেয়েছে, আমরা সংলাপ করেছি। আমরা নির্বাচনের একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই তা করেছি।’ এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে সবসময় যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের সম্পর্কে আপনাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে।’-বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat