- প্রকাশিত : ২০১৮-১১-৩০
- ৩৪৭ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস - ২০১৮ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস - ২০১৮’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
এইডস একটি মরণব্যাধি। বাংলাদেশে অদ্যাবধি সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ হার তুলনামূলক কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডসের ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। এইডস নিয়ে মানুষের মাঝে এক ধরনের ভীতি ও লোকলজ্জা কাজ করে, যে কারণে এখনও বহুমানুষ তাদের নিজেদের অবস্থা তথা এইচআইভি সংক্রমণের তথ্য জানায় না। বাংলাদেশেও সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যককে এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এ বছর বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘এইচআইভি পরীক্ষা করুন; নিজেকে জানুন (Know Your Status) এ প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমানে এইডসের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও মরণঘাতি এ রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। এইডসের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে এইডস আক্রান্তদের বিনামূল্যে ঔষধ ও সামাজিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। বর্তমান এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী ২৩টি জেলায় এইচআইভি পরীক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আমি এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ‘বিশ্ব এইডস দিবস - ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস - ২০১৮ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস - ২০১৮’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এইচআইভি পরীক্ষা করুন; নিজেকে জানুন (কহড়ি ণড়ঁৎ ঝঃধঃঁং)’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি। এ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সহ¯্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) অনেকগুলো সূচক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম এইচআইভি সংশ্লিষ্ট লক্ষ্য-৬। বাংলাদেশ সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) এইচআইভি/এইডস বিষয়ক লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে এইডস রোগ নির্মূল করার জন্য জাতিসংঘের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্য গ্লোবাল ফান্ডের ৫ম রিপ্লেনিশমেন্ট কনফারেন্স - ২০১৫ তে আমরা এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি। সর্বোপরি আমরা বাংলাদেশের আপামার জনসাধারণের সর্বজনীন স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগীসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
এইচআইভি প্রতিরোধের সকল কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নিয়ন্ত্রিত জীবনব্যবস্থা, মাদক বর্জন, নৈতিকতার উন্নয়ন, ধর্মীয় অনুশাসন এবং আক্রান্তদের প্রতি বৈষম্যহীনতা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি আমাদের চলমান কার্যক্রমসমূহ গুণগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে অব্যাহত রাখতে হবে।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, স্বাস্থ্যখাতে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আমি ‘বিশ্ব এইডস দিবস - ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..