ব্রেকিং নিউজ :
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মুস্তাফিজ চলে যাওয়া চেন্নাইর জন্য ক্ষতির বিষয় বললেন হাসি দিনাজপুরে শিশু হত্যার দায়ে একব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড জলবায়ু ও আবহাওয়া বিপর্যয়ে ২০২৩ সালে এশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত: জাতিসংঘ আগামীকাল ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী রাজস্ব আয় ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সকল উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক : স্পিকার স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-০৯
  • ৬৫১ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ২৭৭তম দিনে ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে, পাশাপাশি সুস্থতার হার বেড়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালের চেয়ে আজ ৮ জন কম মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল ৩২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ হাজার ৯৩০ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ১৪ নভেম্বর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ হাজার ৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় (এন্টিজেন টেস্টসহ) ২ হাজার ১৫৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ১৪৩ জন কম শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১৭ হাজার ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ২০২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার দশমিক ২২ শতাংশ কম।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৯ লাখ ১১ হাজার ৬৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১০৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার ২৩ লাখ ২৯ হাজার ৮১টি হয়েছে সরকারি এবং ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৮৩টি হয়েছে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭৭২ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২ হাজার ২০১ জন বেশি সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৭১ জন। দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫ হাজার ৯৬৬ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৮৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯৭২ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৭ হাজার ২০০ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ২২৮টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সরকারি ৭৭টি ও বেসরকারি ৬৩টিসহ দেশের ১৪০টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে (এন্টিজেনসহ) ১৭ হাজার ৪২ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৭ হাজার ৮৪ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৪২টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২৮৪২ দশমিক ৫৫ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ২৩৮৩ দশমিক ৭৪ জন এবং প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৪০ দশমিক ৬৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারী ২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, আর নারী ৬ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ২৯৮ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৬৩২ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২৪ ঘন্টায় ২৪ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৬ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৩ জন; যা দশমিক ৪৮ শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৫৫ জন; যা দশমিক ৭৯ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১৫৫ জন; যা ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩৫২ জন; যা ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৮২৯ জন; যা ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৭৮৭ জন; যা ২৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ৩ হাজার ৭১৯ জন; যা ৫৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘন্টায় ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে এবং বরিশাল বিভাগে ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৩ হাজার ৭৬০ জন; যা ৫৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২৯০ জন; যা ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৪১৪ জন; যা ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৫০৫ জন; যা ৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ২২৯ জন; যা ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৭১ জন; যা ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ৩১২ জন; যা ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪৯ জন; যা ২ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫৪টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৭৫ জন ও শয্যা খালি আছে ১ হাজার ২৭৯টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩১৬টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ২৪০ জন ও শয্যা খালি আছে ৭৬টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৮৩৪টি, ভর্তিকৃত রোগী ২৮৩ জন ও শয্যা খালি আছে ৫৫১টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৪৩টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ২২ জন ও শয্যা খালি আছে ২১টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ৫৪৫টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ৫৮০ জন ও শয্যা খালি আছে ৫ হাজার ৯৬৫টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২৩৬টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮১ জন ও শয্যা খালি আছে ১৫৫টি। সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১০ হাজার ৭৩৩টি, রোগী ভর্তি আছে ২ হাজার ৯৩৮ জন এবং শয্যা খালি আছে ৭ হাজার ৭৯৫টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৯৫টি, রোগী ভর্তি আছে ৩৪৩ জন এবং খালি আছে ২৫২টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৮৪টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৬৭৬টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৬২০টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে। এছাড়া www.dghs.gov.bd এর CORONA কর্ণারে ‘করোনা বিষয়ক অভিযোগ প্রেরণ’ লিঙ্ক অথবা http:/app.dghs.gov.bd/covid19-complain লিঙ্ক ব্যবহার করে করোনা বিষয়ক যেকোন অভিযোগ পাঠানো যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ৪ হাজার ৭৭২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৩ হাজার ৬০৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৭৭ জন, রংপুর বিভাগে ৫৯ জন, খুলনা বিভাগে ১১৭ জন, বরিশাল বিভাগে ২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫১ জন, সিলেট বিভাগে ২৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৮৯২ জন, আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮৭৯ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৪ জন, আর এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৫ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪২ হাজার ৫২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ২৬২ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৩৩২ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ১৩৪ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৮০ হাজার ৪০৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৭২৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ হাজার ৩৯৭ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ১৩ লাখ ১০ হাজার ৪২ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮৪টি, ৩৩৩ এই হটলাইন নম্বরে ফোন এসেছে ৪ হাজার ৫৪৫টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৬টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮০৫টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ৩১ লাখ ২৬ হাজার ৪৩১টি।
কোভিড বিষয়ে হটলাইনে ২৪ ঘন্টায় ফোন করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৩ জন, এবং এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৬ হাজার ৫৬১ জন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১১ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭০ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬ কোটি ৭২ লাখ ১০ হাজার ৭৭৮ জন এবং ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat