ব্রেকিং নিউজ :
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মুস্তাফিজ চলে যাওয়া চেন্নাইর জন্য ক্ষতির বিষয় বললেন হাসি দিনাজপুরে শিশু হত্যার দায়ে একব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড জলবায়ু ও আবহাওয়া বিপর্যয়ে ২০২৩ সালে এশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত: জাতিসংঘ আগামীকাল ব্যাংককের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী রাজস্ব আয় ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের সকল উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক : স্পিকার স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
  • প্রকাশিত : ২০২১-০১-০২
  • ৭০৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

 অসহায়, দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তিদের সরকারি খরচায় ৭৬৬ টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন জাতীয় আইনগত সংস্থার সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির যাত্রা শুরু হয়। সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪২টি মামলা গ্রহণ করে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়া শুরু করে। ইতোমধ্যে এসব মামলার মধ্যে ৭৬৬টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে গ্রহণ করা মামলার মধ্যে রয়েছে ফাষ্ট আপিল (এফএ) ২৪ টি, সিভিল রিভিশন ২০৮টি, ক্রিমিনাল আপিল ৮৩টি, ক্রিমিনাল রিভিশন ৭০টি, রিট পিটিশন ৭৩টি, লিভ টু আপিল ও সিপি ফাইলিং ৬৫টি এবং জেল আপিল ৮১৯টি। এছাড়াও সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস ১৬ হাজার ৫৭৯ জনকে বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা দিয়েছে।
বিগত অর্ধযুগ ধরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে অসহায় দরিদ্ররা বিনামূল্যে মামলা পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন। এক সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা ছিল যে, উচ্চ আদালতে অনেক বেশি টাকা খরচা ছাড়া মামলা করার সুযোগ নেই। সে ধারণা পাল্টে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। ইতোমধ্যেই সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস বিনামূল্যে আইনি সেবা প্রদানে ৬ বছর অতিক্রমও করেছে।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস উদ্বোধন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তার আগেই গঠন করা হয় সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত সরকার দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করেন। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ সংস্থার অধীনে এখন সুপ্রিমকোর্টসহ দেশের সব জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছে। কারা এ আইনের অধীনে সেবা পান তা আইনেই সুনির্দিষ্ট করা আছে।
এদিকে মহামারি করোনার মধ্যেও সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে করোনার এই প্রাদুর্ভাবের কারণে আইন সহায়তা প্রত্যাশীরা অফিসের নির্ধারিত নাম্বারে (০১৭০০-৭৮৪২৭০) যোগাযোগ করলেই আইনি পরামর্শ পাচ্ছেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন নাম্বার ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি) আইনি সেবা অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে আগত আইনগত সহায়তা প্রত্যাশীদের অফিসে মাস্ক পরিধান তথা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা আছে । তবে বিচারপ্রার্থীদের অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে হাত ধোয়া ও জীবাণুমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় অফিস থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত এ অফিসের প্রবেশ মুখেই প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় রাখা আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat