ব্রেকিং নিউজ :
স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়তে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে চসিকের সমঝোতা ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু জাতির পিতার সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা শরীয়তপুরে প্রত্যাগত অভিবাসীদের পুনঃ একত্রিকরণ শীর্ষক সেমিনার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাংলাদেশের এমএসএমই, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ঘোষণা যুক্তরাজ্যের স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল ডোনাল্ড ল্যু নিজ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আলোচনা করতে এসেছেন: ওবায়দুল কাদের আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সাথে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী হজযাত্রীদের নিকট হতে কুরবানির টাকা নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২৮
  • ৬৪২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিনিধি:-  জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধির কারণে বিশ্বে ভয়ানক প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ যুবরাজ উইলিয়াম, যিনি গত সপ্তাহে তৃতীয় সন্তানের জনক হয়েছেন। তার মতে, বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বন্যপ্রাণীর ওপর চাপ বাড়ছে। এ সমস্যা মোকাবেলায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। লন্ডনে দাতব্য প্রতিষ্ঠান টাস্ক ট্রাস্টের একটি ডিনারে অংশ নিয়ে শুক্রবার এসব কথা বলেন প্রিন্স উইলিয়াম। এসময় তিনি পশু সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উইলিয়াম এই সংস্থার রাজকীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যুবরাজ উইলিয়ামের পিতামহ ডিউক অব এডিনবার্গ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানোর জন্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন। ‘ভলান্টারি ফ্যামেলি লিমিটেশন’ নামের সেই পদ্ধতির বাস্তবায়ন খোদ যুক্তরাজ্যে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। সেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির বর্ণনা দিয়ে উইলিয়াম বলেন, ‘মানুষকে অবশ্যই জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হবে। অন্যথায় সামনে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে।’ বিশ্বব্যাপী বন্যপ্রাণী অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে উল্লেখ করে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, ‘আমরা কঠিন সময়ের দিকে ধাবিত হচ্ছি। এখনই গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। যদি আমরা মানুষ এবং বন্যপ্রাণীর সঙ্গে সহাবস্থান তৈরি করতে পারি তবেই গ্রহটি টিকে থাকবে।’ আফ্রিকায় বন্যপ্রাণীর ঝুঁকির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আফ্রিকায় জনসংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে সেখানে জনসংখ্যা দ্বিগুণ হবে। মাসে সাড়ে তিন মিলিয়ন করে সেখানে জনসংখ্যা বাড়ছে। এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বন্যপ্রাণীর ওপর প্রভাব পড়ছে এবং এসব প্রাণীদের ওপর চাপ বাড়ছে। ‘নগরায়ণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং চাষাবাদ ভালো কাজ। তবে এ বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে না পারলে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে।’ প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার প্রথম পুত্র বলেন, ‘গণ্ডার, সিংহ এবং প্যাঙ্গোলিনের মত পশুরা শিকারের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে। এ হুমকির মোকাবেলা করতে হবে।’ আমুর চিতাবাঘ, কালো গণ্ডার, ক্রস রিভার গরিলা, হাওক্সবিল কচ্ছপ, জাভা গণ্ডার, বড়ো আকারের কচ্ছপ, পাহাড়ি গরিলা, প্যাঙ্গোলিন, সাওলা, দক্ষিণ চীনা বাঘসহ বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী নাম উল্লেখ করে সে প্রাণীগুলো রক্ষা করতে তিনি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পশু শিকার করে বাণিজ্য করাকে বর্বর আখ্যায়িত করে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, আমি সন্তুষ্ট যে সরকার সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের মধ্যে হাতির দাঁত বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের বিশ্ব জনসংখ্যা সমীক্ষা ২০১৫ এর প্রতিবেদনে বিশ্বে জনসংখ্যা ৭৩০ কোটি উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, ২০৫০ সালে জনসংখ্যা ৯৮০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে মার্কিন আদমশুমারি ব্যুরো ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বের জনসংখ্যা ৭৪৪ কোটিরও বেশি বলে উল্লেখ করে। সূত্র: টেলিগ্রাফ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat