ব্রেকিং নিউজ :
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন ভোলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ১১২টি পূজামন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হল দুর্গোৎসব বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম করতে পারে গবেষণালব্ধ বই যুগের আলোকবর্তিকা : ধর্ম উপদেষ্টা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব বিমানবন্দরে দুর্ব্যবহার এনসিপির নেতাকর্মীদের, সংবাদ সম্মেলন বর্জন সাংবাদিকদের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়কারী দেশগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি জি৭ মন্ত্রীদের বিশ্বখ্যাত প্রাণিবিজ্ঞানী ড. জেন গুডলের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
  • প্রকাশিত : ২০২২-১১-১১
  • ৫১৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল বাংলাদেশের বাতিঘর হিসেবে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি-বেসরকারি সকল সেবা পৌঁছে দেওয়ার ১ যুগ উদযাপন করছে এটুআই। ডিজিটাল সেন্টারের এই দীর্ঘ পথচলার যুগপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে শুক্রবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক এমপি। একই সাথে সকল জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়েও ডিজিটাল সেন্টারের ১ যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১: সবার জন্য স্মার্ট সেবা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ-এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত ‘এটুআই’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগ-এর সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. ম. শের আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)-এর সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহম্মেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টারের এই মডেল প্রতিষ্ঠা করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের স্মার্ট উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা হবে। এজন্য সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন ও অফলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। দেশের ৮৭ হাজার গ্রামে একটি করে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হবে, যাতে প্রতি ৫ কিলোমিটারের পরিবর্তে প্রতি ২ কিলোমিটারের মধ্যে একটি করে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের হাতের নাগালে সকল সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ইউনিক সেবাগুলোকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নারী উদ্যোক্তাদের জন্য দক্ষতা উন্নয়নমূলক বিশেষ প্রশিক্ষণ ও ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নারী-পুরুষের মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে প্রতিটি ডিজিটাল সেন্টারকে গ্রামীণ অর্থনৈতিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তারা যেনো কাজ করতে পারেন সেজন্য আমাদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের অবকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে এগুলোকে ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করা হবে। সারাদেশের ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং গ্রোথ সেন্টার ক্যাটাগরিতে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য গাইডলাইন চূড়ান্তকরণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এটুআইকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১: সবার জন্য স্মার্ট সেবা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, নাগরিকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেন্টার একটি সফল রোল মডেল হিসেবে বৈশ্বিকভাবেভাবে স্বীকৃত। দেশব্যাপী ৮,৮০৫টি ডিজিটাল সেন্টারে পুরুষ ও নারী উদ্যোক্তা সমন্বিতভাবে বিগত ১ যুগ ধরে সরকারি-বেসরকারি সকল সেবা সহজে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে নাগরিকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এসব সেন্টার থেকে প্রতিমাসে গড়ে ৭০ লাখেরও অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে নাগরিকদের প্রায় ৮০.২৮ কোটিরও অধিক সেবা প্রদান করেছেন। যার ফলে নাগরিকদের ৭৮.১৪% কর্মঘণ্টা, ১৬.৫৫% ব্যয় এবং ১৭.৪% যাতায়াত সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের ভূমিকা অগ্রগন্য, কারণ তাদের হাত ধরেই ডিজিটাল সেবাগুলো প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে জাতিসংঘ সহায়তায় এর অধিভুক্ত ১৭০টি সদস্য দেশের মধ্যে ৫০টি দেশে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেন্টারের মডেলটি প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat