বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জুলাই মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬১ কোটি ৫৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনরে চোরাচালান পণ্য এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করছে।
জব্দকৃত চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে ৮ কেজি ৬৭৯ গ্রাম স্বর্ণ, ২৯ কেজি ৭শ’ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩৭টি কসমেটিক্স, ৩৬ হাজার ৩৫০টি ইমিটেশন গহনা, ১১ হাজার ৪১৫টি শাড়ী, ১ হাজার ৭৭২টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর ও কম্বল, ৫৫৭ ঘনফুট কাঠ, ৮ হাজার ১৭৩ কেজি চা পাতা, ৩৭ হাজার ৭৩৭ কেজি কয়লা, ১ হাজার ৯৪ কেজি কারেন্ট জাল, ৬টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১শ’ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, ১২টি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, ২টি বাস, ৯টি পিকআপ, ৬টি প্রাইভেটকার, ২০টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ৮৪টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি পিস্তল, ১টি এয়ার পিস্তল, ১টি গান, ৯৫ কেজি সালফার ও ৪৩৯ রাউন্ড গুলি।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি সদস্যরা ১২ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭ কেজি ৪২৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩২ কেজি ৬০৯ গ্রাম হেরোইন, ১২ হাজার ৩৪৩ বোতল ফেনসিডিল, ২৪ হাজার ২৫০ বোতল বিদেশী মদ, ৬ হাজার ৬৫০ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৬৫৪ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬১ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৯টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৪ হাজার ৭৯১টি ইস্কাফ সিরাপ, ২ হাজার ৪২৪ বোতল এমকেডিল -কফিডিল, ১১ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৩ পিস বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫০টি অন্যান্য ট্যাবলেট জব্দ করেছে।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩৫ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অপরাধে ৬৬ জন বাংলাদেশী, ১৪ জন ভারতীয় এবং ৭৭ জন মায়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।