লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ায় আটকে পড়া ১৬১ জন বাংলাদেশী অভিবাসী আজ পৃথকভাবে দেশে ফিরেছেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এর যৌথ উদ্যোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
প্রত্যাবর্তনকারীদের মধ্যে, ১৪৩ জন লিবিয়া থেকে একটি চার্টার্ড বুরাক এয়ার ফ্লাইটে (ইউজেড ০২২২) আজ সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে ১৮ জন আটকা পড়া বাংলাদেশি তিউনিসিয়া থেকে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (টিকে ৭১২) সকাল ৫টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইওএম-এর কর্মকর্তারা অভিবাসীদের স্বাগত জানান।
প্রত্যাবর্তনকারীদের বেশিরভাগই মানব পাচারকারীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের মাধ্যমে সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর অভিপ্রায়ে অবৈধভাবে লিবিয়া ও তিউনিসিয়ায় প্রবেশ করেছিল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিবিয়ায় থাকাকালীন তাদের অনেকেই অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রত্যাবর্তনকারীদের অবৈধ অভিবাসনের বিপদ, বিশেষ করে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে বিপজ্জনক যাত্রা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিউনিসিয়া থেকে প্রত্যাকর্তন করা প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৫ হাজার ৪৫০ এবং লিবিয়া থেকে প্রত্যাবর্তনকারী প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহ,চিকিৎসা সহায়তা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে আইওএম ।
ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ মিশন এবং আইওএমসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিবিয়ার বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।