অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ১০ লাখ নাগরিক অর্ধেক বিমান ভাড়ায় দেশের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অবকাশ কেন্দ্র ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক পর্যটকদের এ দেশে আসা থেকে বিরত রাখতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পর পর্যটন খাতকে চাঙ্গা করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘোষিত সরকারের একটি পরিকল্পনার আওতায় তারা এ সুযোগ পাবেন। খবর এএফপি’র।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, সরকার অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নগরীগুলোর বাইরের বিভিন্ন এলাকা ভ্রমণে আট লাখ ফ্লাইটকে ভুর্তকি দিতে ১শ’ ২০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার ব্যয় করবে। আর এই এলাকাগুলো ‘আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।’
খবরে বলা হয়, গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ, উলুরু ও গোল্ড কোস্টের মতো বিভিন্ন অবকাশ কেন্দ্র ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলীয়রা অর্ধেক বিমান ভাড়ার এই সুযোগ পাবেন।
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গত মার্চে অস্ট্রেলিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের পর্যটক অস্ট্রেলিয়া আসা বন্ধ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত বিদেশি পর্যটকদের জন্য ফের সীমান্ত খুলে দেয়ার কোন ঘোষণা দেয়া হয়নি। মহামারি শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার বাৎসরিক আন্তর্জাতিক পর্যটনের আয় ছিল ৪৫ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার (৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।